লিখনীর নিভে জং ধরে আছে,
সে কত শত শতাব্দি অবধি।
রুক্ষে জর্জরিত তাই এই বক্ষ,
শুষ্কতায় হাহাকার তার মোহনা।
ক্ষুধার্ত দু'চোখের ছলছল তৃষ্ণায়,
অনিবার্য যত ধ্বংসযজ্ঞ দেখি।


তবে কি আজ প্রলয় হতে চলেছে মহা,
সভ্যতার নিগূঢ় যত লিখনীর ইতিহাসে?
চাইনা গোঁড়ামীর বিষাক্ত ফণা,
চাইনা মুহুর্মুহ অগ্নিয় ছোবল।


মূর্খতার কালচে আস্তরণ চূর্ণে বিচূর্ণে,
ফের ফিরে আসুক রচয়িতার বিরামহীন শব্দধারা।
নিশ্ছিদ্র মানবতার দৃঢ়তা বাঁজুক,
রচনার নিদারুণ যত শাব্দিক উপমায়।
সহস্য কাব্যিকতায় স্বগৌরবে ফুঁটে উঠুক,
প্রেমের অকুলতায় জড়ানোর ব্যাপকতার পরিসীমা।
দিগন্ত হতে বিশ্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্পন্দিত হোক,
ক্ষুরধার কবিতার উজ্জ্বল উচ্ছল মহোউৎসব।


তবে হৃৎপিন্ডের আকুল আর্তনাদে সুবাসিত হোক,
কবিতা পুষ্পের স্নিগ্ধ সাহিত্যের সৌরভময় পাপড়িতে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014·Jun·06_01·15·রজনী।