আমার মৃত্যুর অভিলাষী মোহগুলো আজকাল সেভাবেই আসে,
ঠিক যেভাবে তুমি এসেছিলে আমার উত্তপ্ত চিত্তের দেড়গোড়ায়।


হ্যাঁ নীলন্তী,
এখন শীতের নির্জন মধ্যাহ্ন,
যেটায় নিঁখুতভাবে আঁকা থাকে একাকীত্বের ধুম্রজাল।
কয়েক দশক আগের ঋতুর সাথে কোন মিল নেই,
চলতি পৌষের রিনিঝিনি পায়েল এই শীতের।


মনে আছে?
আমাদের নিত্য আলাপ হতো বীভৎস যত ভবিষ্যতের অনাগত স্মৃতির সাথে,
সে আলাপ আবার কখনো কখনো দীর্ঘ প্রলাপেও রূপ নিতো।
শুষ্ক বাতাসের উড়ন্ত গুঞ্জরণে উভয়ের প্রেমাক্ষর আজ বড়ই নির্জীব,
বিষন্ন বিস্মৃতি মিশ্রিত পরিচয়টুকু আজ অগ্রজ হতে হতে বিলুপ্তির পথে।
যদিও কিছু দুজনার নিবিড় মিলনের চিত্রপট,
হৃৎপিন্ডে সজীবতায় অনন্ত যৌবণা হয়ে আছে এখনো।


নীলন্তী,
শীতের বিস্তৃত ঝংকারে ঝরে পড়া পাতার শীরা উপশীরায়,
স্পষ্ট অলংকৃত আছে ফেলে আসা প্রেমচিহ্নের ইতিকথা।
তোমাকে সেসব রোমন্থনপত্র পাঠের,
শীতার্থ নিমন্ত্রণ আবেদন করছি।
শত অসময়ের ভিড়ে সময় করে চলে আসিও,
আমি নিরালা মধ্যাহ্নে তোমার হিমাবৃত প্রতীক্ষায়।


ইতি-
তোমারই, নীল।


রচনাকাল -
কোর্ট হীল, লালদিঘী, কক্ִসবাজার।
2014·Dec·18_04·00·অপরাহ্ন।