আমরা নিস্তব্ধে ব্যারাকে ফিরে গেলাম বহর যোগে,
শীতমুখর কোন হিম সকালের ধূমিকার আস্তরণ কেটে কেটে।
উদ্ভট আর উদ্ভ্রান্ত সে নগরীতে তখন মৃত্যুর মিছিলের শোক,
ক্রমাগাত অজস্র বেওয়ারীশ লাশের স্তুপের পাশে, আমরা জিরিয়ে নিলাম।
নিকষ এক বিগত রাতের গগণ বিদারী সে চিৎকারগুলোর মমার্থ,
আমরা একে একে সবাই বুঝতে ও উপলব্ধি করতে লাগলাম।
ভয়ানক অগণন পিশাচী প্রেতাত্মারা এসেছিলো,
নগরীর মৃত সব রক্তাক্ত উপদান তাইই সাক্ষ্য দিচ্ছে স্পষ্ট।
বেলা গড়িয়ে সূর্য্যের পশ্চিমে অগ্রযাত্রা শুরু,
তবুও মৃত ও অমৃত শীতার্তদের কিনারায় ঠান্ডার গভীর অবস্থান।
আমাদের ব্যারাকে এখন সংরক্ষিত কোন রসদ নেই,
আছে কেবল স্থীর অসংখ্য মৃত দেহের জমাট বাঁধা রক্তের ছোপ।


আমরা ভীষম ক্ষুধার্তে পীড়াময়ী হয়ে উঠলাম,
বিস্তৃত রক্ত গঙ্গা হতে অনেকেই ভূখের তাড়নায় বরফ পিইয়ে খেলো।
সাদৃশ্য এসব চলমান চিত্রপট হৃৎপিন্ডে ফুড়ে যাচ্ছিলো অবলীলায়,
আর যারা কিছুই খেলোনা, সেসবরা ক্রমশই নিস্তেজ হয়ে গেলো।


সেভাবেই দীর্ঘ কয়েক শতাব্দি পরে আমাদের বহর,
সম্মুখে অগ্রগামি হয়ে আবিষ্কার করলো সভ্যতার লোকালয়।
সেসব সভ্যতার কোথাও যতিচিহ্নের বিন্দুও নেই,
বিগত পূর্বসুরির যত চিৎকার আর আর্তনাদের নির্মম আহাজারীর।
চূড়ান্তে বহর সর্বস্ব আমরা যাত্রা আদিমতায় অভিমুখি হলাম,
এবং  অতঃপর চিরন্তন এক অরণ্য গুহায় নিজেদের আবাস গড়লাম।


রচনাকাল -
বান্দারবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম।
2014.Dec.29_12.00.রজনী।