নির্ঘুম উন্মুক্ত জানলা ধরে,
নীরব উৎসুক দৃষ্টি সুদূরে।
পৌষের চলমান শীতের তীব্রতা,
ক্রমশই লুটে নিচ্ছে ক্রমে,
আততায়ী দলছুট মেঘের যত বৃষ্টি বিন্দু।
এখন বিরাতের ঠিক মধ্যাহ্ন,
সময় নিবিড় অগ্রগামী ভোর থেকে প্রভাতে।
একাকীত্বের অশ্ব দাবড়িয়ে যায়,
তন্দ্রার সম্রাজ্য চূর্ণ বিচূর্ণ করে।
নিকষ ভাবনার অন্দর মহলে জেগে উঠে বিস্মৃতি,
আর মনন বলে নিঃশব্দে, প্রেয়সী হয়নি লেখা আজ কোন কবিতা।


বিয়োজনের অর্থহীন গণিত কষে বারংবার,
বলো হে চিত্তপিন্ড, কতটুকু পেয়েছো পূর্ণতা?
কেনো বলো নিরর্থক সে বৃথা হেয়ালিপনা,
যার নিদারুণ যাপনে জন্ম নেয় বিবর্ণতা।
বিনিদ্র বিহঙ্গের দুধপালকে তবে লিখে দেই ফের,
প্রেয়সী হয়নি লেখা আজ কোন কবিতা।


অবেলার এই বেহিসাবি বাদলের অণুতে বাঁধা,
ঝরে পড়া প্রেমপুষ্পের মুকুলের খাম তুলে নিয়ো।
আর নিভৃত নির্জনে একান্তে পরমে ভাঁজ খুলে,
পড়ে নিয়ো সেই মধ্য বিরাতে তোমাতে লেখা একটি লাইন─
প্রেয়সী হয়নি লেখা আজ কোন কবিতা।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.02_02.50. রজনী।