বিস্তীর্ণতায় বিস্তৃত বিরাতের বিস্মৃতি;
বিরতিহীন বিষাদি ব্যাখ্যায় বিষণ্ণ ক্রামাগত।
তোমার মোহ আবৃত তিমির সহসায় এসে গ্যাছে;
নব্য যত যাতনার বর্ণচ্ছটায় বিচিত্র সব বহর যোগে।
যখন একে একে নগরীর সমস্ত গুঞ্জন নিভে গ্যালো;
তখন নিত্যের ন্যায় বিরহের পিশাচী নৃত্য আসন্ন।
এখন চলছে চিত্তের দগ্ধ পসরায়, এক নির্মম নাট্যচিত্রের সমারোহ;
সাদাকালোর বিবর্ণ মননের পর্দায়, দর্পিত একাকীত্বের অসীম চিত্রপট।
পরাধীন হৃদয় মোহনায়, তেড়ে আসে অগণন অচিন বিক্ষত ইতিহাস;
তমসার তীব্র ঘনত্বের বুক চিড়ে, স্বাক্ষর করি সেসব ইতিহাস পৃষ্ঠায়।
ধূসর যত বিকল কাব্যিকতার, অচেনা রাগের অন্তড়ালে;
গগণচুম্বি ডাক দেয় সুপ্ত আমার নিষ্কল স্বপ্ন দল।
চিরাচরিত নিয়মের হাত ধরে, ফিরে আসে ফের প্রভাতের লগ্ন;
সাময়িক বিরতিতে সমগ্র রণক্ষেত্র, ঘোষণা করে আগাম যুদ্ধসূচি।
সেভাবেই চেতনার প্রান্তর ক্ষয়ে চলে, বিরামহীন এক সংঘর্ষে;
আর প্রতিবারই পুণরাবৃত্তি ঘটায়, অশেষ এক লড়াইয়ের যাবতীয় আয়োজন।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
14.Nov.08_12.20.  রজনী।