সহস্র ক্রোশ আলোকবর্ষ দূরে নিশ্চিহ্ন হয়ে,
নিঠুর এই সভ্যতার গায়ে কালিমা লেপন করবো।
এখানে অনায়াসেই চলে দিবা রাত্র বদলানোর নিলাম,
মুখ চোখ অবয়ব হতে চিত্ত হৃৎপিন্ড পর্যন্ত।
বেদনার অসীম বিষাক্ত ভূমিতেও উৎপন্ন হয়,
মুহূর্তেই পাল্টানোর বারোমাসি হাইব্রীড শস্য।
অতৃপ্তের এক নিদারুণ হাহাকারের তীব্র বিলাপে তাই,
আমি স্বপ্রাণে বিলুপ্ত হবো এই হিংস্র পদচারণা থেকে।
সমকালের এই লেলিহান শিখা জানি নিপতিত হবেনা কখনোই,
তাই নিস্তব্ধে নীরবে বিরহের অনলে জ্বলে পুড়বো আমি।


তবে কেউ কখনো যেন উচ্চারণ না করে আমাতে, ফিরে এসো বলে,
ঐ সমুদ্রের ধারে, ঐ থেমে যাওয়ার নদীর প্রান্তরে।
যেখানে দীর্ঘ প্রতীক্ষার ট্রেন এসে জিরোয়,
সেখানে যেন কখনো অবধি আমায় না ডাকে, ফিরে এসো বলে।
যেসব স্মৃতির বিন্দু ফোঁটা আজ শিশিরে,
নিভৃতে নির্বাকে নিশ্চুপ হয়েছে, সেসবেরা যেন আমায় না ডাকে।


বিস্তৃত একালা গগণে যেসব পায়রা সমগ্রের দলবহর,
প্রশান্তির ঝর্ণা হয়ে উড়ে যাবে ঐ জানালার কার্ণীশে।
সে সমস্ত পায়রার ভীড়ে আমি থাকবো স্বমহিমায়,
বিস্তীর্ণ ভালোবাসার নিটোল প্রচ্ছন্ন এক ডানা হয়ে।
এলোমেলো বৃষ্টির ঝিরিঝিরি জলের কেন্দ্রতে,
আমি থাকবো মিশে মিশ্রিত দ্রবণ হয়ে।
কিংবা রাত জাগা ভোরের প্রথম স্নিগ্ধ শুভ্র আভায়,
আমি থাকবো লেপ্টে  এক অপার মায়ায়।


আমায় এই বিরূপ সভ্যতার ওইসব উপাদানে খুঁজে নিও,
কিন্তু কখনো বলোনা, ফিরে এসো বলে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Nov.05_01.40  রজনী।