না প্রেয়সী
হৃৎপিন্ডের অনন্ত পসরা ছুঁয়ে দিয়ে দেখি,
হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।
হয়নি কী অব্যক্ত যত নিকটে জড়ানোর আয়োজন সম্পন্ন,
হয়নি খুব করে কাছে থেকে উষ্ণ নিঃশ্বাসের আবির মাখার বিমল বাসনার জন্ম।
তাই হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


নিকষ বিরাতের নিস্তব্ধ বাতাবরণে পড়েনি মোহের প্রলেপ আস্তরণ,
আসেনি সন্নিকটে কামনার উদ্ভ্রান্ত শত সহস্র প্রত্যাশারা।
তাই হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


অস্ফুট কণ্ঠস্বরের নিটোল মায়ায় উঠেনি আজ আহ্ববান,
হয়নি বলা একটুও নিভৃত ক্ষণে মিশে যাওয়ার প্রলাপ।
তাই হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


গহীন বিরাতের বুক চিড়ে দিব্যি জন্ম নেয় প্রভাতের মহাকাল,
যাতনার অতুল বহর সর্বস্ব নেমে আসে মননের মোহনায়।
তবুও হয়নি দর্শন স্বর্ণালী বোরাকে প্রণয়ীর আগমণ,
তাই হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


অন্তহীন বেদনার বক্ষ ফোঁড়ে রচিত হয় বিচ্ছিন্নের স্বরলীপি,
বিদীর্ণতার হিংস্র সংবিধানে রচিত হয় বিচ্ছেদের ধারা।
বিষন্ন প্রদোষের মরু প্রান্তর হতে নির্লিপ্ত যামিনীতে-
আবার যামিনীর অন্ত হতে প্রভাত হয়ে ভোরের কিনারায় পৌঁছে যায় সহসায়,
প্রকান্ড সে চিত্তদ্বয়ের অস্পর্শের মর্মস্পর্শী সংবাদ।
তাই প্রেয়সী,
হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


মননের মাস্তুলদন্ডে তবে আঁকা হোক নিমিষেই,
অস্পষ্ট এক গন্তব্যহীন মানচিত্রের সম্পাদ্য।
অজানার অচিন নির্বাসনে তবে যাত্রা হোক অবলীলায়,
যেথায় নেই কোন মানবীর রূঢ় প্রতীক্ষার দীর্ঘ বিষাদ।
নেই কোন কবিতার অবিশ্রান্ত ভূমিষ্ঠের ক্রন্দন ক্লেশ,
নেই বিমূর্ষ লেখনীর কোন মুমূর্ষ কাব্যিকতা।


আর তাই প্রেয়সী,
হয়নি লেখা অনন্তকাল কোন কবিতা।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবজার।
2015.Jan.21_12.20. রজনী।