রঙ্গিন নিসর্গের উদ্দীপনা লেগেছে রমণীর দীঘল প্রকোষ্ঠে,
হলদে শাড়ির লালচে আঁচল হয়ে কব্জি অবধি ছুঁয়েছে আগুন ঝরা ফাগুনের তীব্র সুবাশ।


সদ্য খোপায় ডাঁশা পুষ্প, লাজুক শোভা ফেলেছে স্বয়ং,
অক্ষি ফেঁটে তবুও মিশে আমার নির্বাক দৃষ্টি চাহনী তাতে।


মনোহর দেহযষ্টি হয়েছে দারুণ হলুদের নিটোল পর্বতমালা,
ক্রমশঃ পুড়ছে আমায় যা রমণীর মাতাল স্নিগ্ধতায়।


রমণী আজই এই বসন্তের বিরাতে আমি ডাকবো তোরে একান্তে,
প্রিয়তমা বাসন্তী বলে।
শ্যাম কর্ণ হয়ে ললাট বেয়ে বর্ণীল কৃষ্ণচূড়া অধরের শুভ্রতার,
অপরূপ বিমুগ্ধ মুর্ছনায় হৃৎপিন্ড বিমোহিত প্রকট।


তোর শৈলী দেহসজ্জা আজ চাক্ষুষ সাক্ষী ফাগুন ঝরা আগুনের,
বিচিত্র ডোরাকাটা বহির্বাসও প্রত্যাশার নিরেট নিদর্শন।


নীরব বর্ণীল নয়নে নিঃশ্চুপ এ গগনে ফাগুন এসেছে ধরায়,
তবে বলো কেনো রমণি পুড়েছো এ চিত্ত বসন্তের অনলে আনমনায়।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Feb.13_11.50 রজনী।