কথা ছিলো─
উত্তাপে মুষড়ে পড়া মধ্যাহ্নের নিকষ একাকীত্বে,
হৃদয়ের কপাট খুলে বয়ে দিবে প্রত্যাশার গণজোয়ার।


কথা ছিলো─
অপরাহ্নের উত্তাপ কফির ধোঁয়া উঠা পেয়ালায়,
অবলীলায় সুর হয়ে বাজবে সৃষ্টি সুখের উল্লাস ধ্বনি।


কথা ছিলো─
গোধূলির সাঁজ সাঁজ পড়ন্ত সায়াহ্নে নীরবতার বহর সর্বস্ব,
অনুনয়ে বিনয়ে অগ্নি লহরীতে নিশ্চিহ্ন হবে নিমিষেই।


কথা ছিলো─
বিষণ্ন প্রদোষের বিবর্ণ অজস্র দলছুট মেঘদল যত,
সবটা শয়ে শয়ে বিলীন হবে উদীচীর তৃণহীন উদ্যানের নৈঃশব্দে।


কথা ছিলো─
একদিন হুড়মুড়িয়ে রাত্রির বিষাদগুলো উড়ে যাবে,
কোন উন্মুক্ত বিহঙ্গের ডানার পালকের তীব্র ঝাপটায়।


কথা ছিলো─
জ্যোৎস্নার নিরেট প্রখরতার প্রচ্ছদে অঙ্কিত,
নীলাভ সমুদ্রের প্রকান্ড উর্মিতে ক্ষুধাতুর প্রেমিকা হবে।


কথা ছিলো─
সমস্ত নগরীর হলদেটে সোডিয়ামের নিভৃত ল্যাম্পোষ্টে,
অন্তহীন প্রতীক্ষিত হবে বহুল প্রেমের দৃষ্টি নিয়ে।


কথা ছিলো─
নিকষ নিশির নিগূঢ় নিঃশব্দের পরতে পরতে,
জুড়ে দেবে প্রশান্ত মোহের মূর্ছনার ঝংকার।


কথা ছিলো─
নিদারুণ রজনীর নিশ্চুপ শহরে প্রাণান্ত,
উৎকৃষ্ট বীণার মর্মস্পর্শী গীতাঞ্জলী হবে অবলীলায়।


কথা ছিলো─
বিনিদ্র অক্ষির তীব্র নেশায় মত্ত প্রভাতের তন্দ্রায়,
আকুল করা স্বপ্নের সম্রাজ্ঞী হয়ে হানা দেবে অনন্ত।


কথা ছিলো─
গাঢ় যামিনীর অন্তিম প্রহরে প্রেম পরমে,
ডেকে যাবে নিশ্ছিদ্র আকুলতায় অবিরাম।


কথা ছিলো─
নিস্তব্ধ গহীন তিমিরের বিজন পথের শেষে,
প্রগাঢ় এক ফালি প্রভাতের স্নিগ্ধতা হবে ভীষণ।


কথা ছিলো─
আসবে হৃৎপিন্ডের চির জাগ্রত পসরার মোহনায়,
নিথর অথর্ব ভালোবাসার অবুঝ কাঙ্গালীনী হয়ে।


কথা ছিলো─
কথা ছিলো অনন্ত অন্তহীন অশেষ,
অগণন প্রচন্ড প্রচুর কথা ছিলো প্রিয়তা।
হৃদয় চিড়ে দ্যাখো…


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.30_12.50 রজনী।