গহীন নিস্তব্ধ এক তিমিরে।
হাঁটুগেড়ে বসে আছি ঠাঁয়,
অন্তহীন আন্তরিক্ষের জল ঠাসা নীরদের উপর।
বিস্তীর্ণ এই স্থীর তরঙ্গময় উদ্যানে,
নেই কোন নিসর্গের নৈসর্গিক পদচারণার পদাঙ্ক।


তীব্র নিরাশার ঘেরাটোপে আবৃত হচ্ছি ক্রমশই,
উদ্ভ্রান্ত বাতাসের শরীরে মিশে আছে হারানোর বিজ্ঞপ্তি।
সজলসমুদ্র বাতাবরণে প্রকটভাবে ধ্বনিত হয় স্পষ্ট,
বিভীষিকাময় বিগত কালের নিষ্ঠুর যত ধ্বংসের ইতিহাস।


তন্মধ্যে হাঁটু পেরিয়ে বক্ষ পাঁজর ছুঁয়েছে নীরদপুঞ্জী,
তীব্র তমসার নিরেট নির্জনতা চিড়ে ভেসে আসে মৃত্যুক্ষুধার সুর।
অস্ফুট দৃষ্টি ক্রমেই ক্ষীণতে রূপান্তর হচ্ছে,
মাঝে মাঝে আচমকা অদূরের হাহাকার মিশ্রিত গর্জনে,
প্রকম্পিত হচ্ছে ঊর্মি উদ্যান।


ক্রমেই ঘনিয়ে আসে অদৃশ্য সব মৃত্যুর অনন্য আয়োজন,
হিংস্রতার লালাভ প্রভা রক্তাক্ত করে হৃৎপিন্ড নিমিষেই।
অন্তর ও আত্মায় অবলীলায় নেমে আসে নিশ্ছিদ্র যাতনার দল,
অতঃপর চূড়ান্ত লগ্ন মৃত্যুদূত সমাদৃত হয় এক বিষাক্ত পন্থায়।


আমার সৃষ্টি অবধি এভাবেই আমি পতিত হয় চিরন্তন প্রতিনিয়ত,
অহরহ মৃত্যুর উত্তাপ দাবানলের নীলচে শিখার অতল গহ্বরে।
সময়ের চক্রে কালের বিবর্তনে সভ্যতার নিদারুণ ঘুর্ণিপাকে,
আমার সমগ্র অস্তিত্ব লেপ্টে থাকে শত সহস্র ধ্বংসের নিকষ কেন্দ্রস্থলে।


হয়ত বিবর্তনের পালাবদলে সেভাবেই উপনীত হবে একদিন,
আমার অন্তিম মৃত্যুর চরম ও চূড়ান্ত কার্যক্রম।
আর পুণঃজাগ্রতের অনন্ত বাসনা সেদিন সমূলে বিধ্বস্ত হয়ে,
একান্তে পরমে শায়িত হবে আমাতে না ফেরার সেই সমাধি প্রাঙ্গনে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.31_01.20. রজনী।