অবরুদ্ধ প্রশ্বাসহীন হয়ে হেঁটে যাচ্ছি বিরামহীন ক্রমাগত,
কোথাও কোন মানুষ্যের যতিচিহ্নের ছাইপাশও নেই কেবল অগণন মৃত পদাঙ্ক বাদে।
শহরটা বেশ পরিচিত আমার অথচ কি অদ্ভুত এক রহস্য,
আমি ও শহর একে অপরের থেকে যোজন যোজন দূরে।


ক্রমাগত এক দাসত্বের শৃঙ্খল পড়েছিলাম একদা,
এখন বন্দীত্বের খোলস চিলে বেরিয়ে এসে অবমুক্ত।
কালের বিবর্তন আর সময়ের স্রোতে দেখা হয়নি নিজেকে কখনোই একান্তে,
হয়নি দেখা প্রিয় মুখাবয়ব ও অতীব পছন্দের দাড়ীগুলোর ফোঁড় অনন্তকাল।
কতোদিন অনুভব করিনি কোন স্পর্শ; ভুলে গ্যাছি স্পর্শ কী,
আজ বিষম ভীষণ ইচ্ছে করছে খুব করে কোন মানবীর স্পর্শ পেতে।


সম্মুখে থমকে দাঁড়াই আসন্ন মিছিলের পানে তাকিয়ে,
বিরহী রজনীর উদ্ভ্রান্ত যত কষ্টের লেলিহান মশাল মিছিল।
এইতো সেই মশালের প্রত্যাশিত আলোর উদ্ভাসিত মিছিল,
যেটা বন্দীত্বের খড়ম পায়ে আঁধারে যাপন করতে করতে কল্পনা করেছিলাম দিব্যি।
এই তেজদীপ্ত প্রখরতা এখন স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে হৃৎপিন্ডের পরতে পরতে,
দীর্ঘ প্রতীক্ষাস্পন্দিত তৃপ্তির উল্লাসিত আলোয় মিশে গ্যালাম নিমিষেই ও অবলীলায়।


সমস্ত বিষাদ, বিষণ্নতা ও বিরহের বাস্তবতা ছুড়ে দিলাম মশালে,
সেসব বেদনাগুলো পুড়ছিলো উজ্জ্বল মশালের নীলাভ শিখায় নিকষ কালো কয়লা হয়ে।
পরিশেষে অবশিষ্ট ভস্মপিন্ড উর্বর সার হয়ে জন্ম দিচ্ছে,
আমার যত অস্পর্শী শত সহস্র স্বপ্নের বীজ অঙ্কুর।


সদ্য বিপ্লবে জন্মানো অজস্র স্বপ্নের বহর যোগে আমি,
হয়ত পৌঁছাবো একসময় মানবীর প্রেমপূর্ণ দ্বারে।
আর রহস্যময়ী এই মানব শূণ্য নগরী ভরবে তখন,
বহুল প্রতুল প্রাণের গণজোয়ারের কাকলীতে।
সেভাবেই সভ্যতা একদিন আমায় চিড়ে নেবে তার বক্ষে,
আর আমি বীরত্বের দামামা বাঁজিয়ে হয়ে উঠবো সময়ের প্রকান্ড সাহসী অবমুক্ত স্বাধীন পুরুষ।


রচনাকাল -
খুটাখালী, চকরিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.25_01.00 রজনী।