অদ্ভুত এক দুঃস্বপ্ন কড়া নাড়ে চিত্ত দ্বারে;
কে প্রশ্ন রাখতেই জাগরণ ঘটে তৃষ্ণার্ত যত মোহের।
একবার নিরেট ধূমিকার আস্তরণ চিড়ে চিড়ে;
উপনীত হয়েছিলাম বিস্তৃত শীত প্রবণ গভীর রজনীর বুকে।
তখন আমার প্রেয়সী বলতে ছিলো কেবল;
ঐ নিশ্চুপ নিস্তব্ধ শীতার্ত রাত্রিগুচ্ছ।
তুষারখন্ডের স্রোতে বক্ষ আবৃত হয়েছিলো আমার ক্রমশই;
আর হিম শীতল রজনীর আগাগোড়া মোড়া ছিলো উষ্ণতায় উত্তপ্ত।
প্রচুর বরফই পোড়াচ্ছিলো অবিরাম আমায় সেরাত;
কিন্তু যখন তেষ্টা নিবারণের জল মিললো,
তখন সব বরফই অগ্নিপিন্ডে রূপিত হলো সহসায়।
নিরন্তর ওই যাত্রার যন্ত্রণাময় পর্বতগুলো নিমিষেই;
বয়ে চলেছিলো বীরদর্পে প্রত্যাশার যত স্বপ্ন পিঠে নিয়ে।
নিবিড় মিষ্টিতে ভরপুর সেসব সঙ্গীত উচ্চচস্বরে গাচ্ছিলাম;
সাথে নিয়ে কয়েকরাশ বর্ণীল তেজদীপ্ত মনন ভর্তি মোহ।
রজনীর সব উপাদানই হয়েছিলো শ্যামল উচ্ছ্বাসিত আর সঙ্গীতমূখর;
আর ক্রামান্বয় নিয়ে যাচ্ছিলো আমায় এক মহা মিলনের নিদারুণ আস্বাদনের পথে।
প্রকৃতির নিয়মে ফের ফিরে আসা শীতের এই সমগ্র রাত বিরাতগুলো;
আমায় আজও জাগ্রত করে দেয় সেসব ফেলে আসা শীতমূখর রাত্রির ইতিহাসগুলোর কথা।
সেই দুঃস্বপ্ন থেকে প্রত্যাশীত লগ্নে রূপান্তরীত হওয়া;
সেসব মিষ্টান্নতা আজও লেপ্টে আছে আমার গায়ে মুখে আর চোখের কাজলে।
খুব ইচ্ছে হয় এখন আমার আবার;
সেই দুঃস্বপ্নের মুখোমুখিত হতে,
আর বিচিত্রতায় শীতপ্রীত নিশি উদযাপন করতে।
কারণ, আমি শীতমগ্ন রাতের এক নিকষ কান্ডারী।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Oct.29_02.20 রজনী।