নিকষ বিরাতের নিস্তব্ধতা হতে জেগে উঠছে স্বয়ং,
ফেলে আসা অতীতের ইতিহাস থেকে শয় শয় বিচ্ছেদের পাহাড়।
বিষন্ন বিরান বর্ত্মার প্রচ্ছন্নে মিশে আছে,
লালাভ বিস্মৃতির ক্ষত বিক্ষত বেওয়ারীশ স্বপ্ন সমগ্র।


গহীন নৈঃশব্দের ভিতরেও নিশ্চুপে দহন হয় কামনার ভ্রুণ,
বিস্মিত হৃৎপিন্ডের মোহনায় উঠে আসে বিষাদের যাত্রাদল।
অঘোষিত সমরের রক্তক্ষরণে রণক্ষেত্র হয় মননের দ্বার।
বিনাশী প্রলয়ের প্রকম্পিত থাবায় বিচূর্ণ হয়,
অস্পর্শী পাঁজরের অজস্র অন্তিম মোহের সুপ্ত অস্তিত্ব।


গন্তব্যের অন্তহীন সীমানা পেরিয়েও নেত্রপাত হয়নি,
অনন্ত শত সহস্র বাসনার নিদারুণ সব প্রত্যাশার বহর সমূহের।
এখানে নেই কোন চেতনার মোহরাঙ্কিত আলাপনের যতিচিহ্নও,
কেবল কালের বিবর্তনে দুষ্প্রাপ্য হওয়া বর্ণীল সেই ক্ষণগুলো ছাড়া।


ক্রমান্বয়ে বীজন জানলার কার্ণীশ ঘেষে নেমে পড়ে গাঢ় তমসার পরত,
আর পরিশেষে বয়ে আনে এক বিষাক্ত ঊষার থমথমে ভোর।
সেভাবেই যাযবার পথিকের আবর্তিত হয় চিত্তের অদৃশ্য যাপন,
চূড়ান্তে যেখানটায় গড়ে উঠে মহাকালের গচ্ছিত বাসস্থান।


রচনাকাল -
2015.Jan.03_01.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।