উভয়ের তারতম্যের একমাত্র দূরত্বের নির্ণেয়ক,
কারাগার প্রাচীরের লৌহশিক থেকে অনুরণন হচ্ছে নির্বিবাদ,
বিপ্লবের যত প্রাচীণ মহাকাব্যিক প্রেরণাদীপ্ত মহাবণী।
তোমার সজলসমুদ্র অক্ষির ভাঁজে নিদারুণভাবে নীরবে শায়িত,
শত অতৃপ্তির হুঙ্কার আমার শ্রবীত হয় মাধবী,
কিন্তু আজ অবরুদ্ধ এই জীবনের প্রান্তে নির্দয়ে,
আমার প্রত্যাশিত কামনার জৈবিক দেহে বিপ্লব সমাদৃত দারূণ।


মাধবী,
নিকষ জালিমের প্রশ্বাসে ধ্বংসের স্তুপে জনপদ,
নিষ্পেসীত হওয়া সভ্যতা প্রকট এক নির্যাতনে আবদ্ধ।
দূর্যোগের এই মহাসমারোহে একান্ত প্রয়োজন,
এক গগণস্পর্শী রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্র রচনার।


প্রেয়সী,
আমাদের অস্পর্শী সহস্র কামনার যত সুপ্ত প্রত্যাশা,
তার সবই অর্জিত থাক আগাম ঐ আসন্ন নব প্রজন্মের কাছে।
যবে ভূ-খন্ড স্বপ্রাণে মহিমান্বিত হয়ে,
এক তুমুল সংগ্রামের নিশ্ছিদ্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে,
সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়ে মুক্তি পাবে স্বমহীমায়,
তখন আমরা ফের মিলিত হবো দুজনা হৃদয়ের নিরেট প্রেমের প্রান্তে।


প্রিয় প্রণয়ী,
দেখা হবে গণবিপ্লবের পথে,
কিংবা তার পরে।
কথা দিচ্ছি,
দেখা হবে কোন বিজয়ের মহেন্দ্রক্ষণে।


প্রিয়তা লাবণ্যানী,
দেখা হবে গণবিপ্লবের পথে,
কিংবা তার পরে।


রচনাকাল -
2015.Jan.14_12.40 রজনী।
লাইট হাউজ, কলাতলী, কক্ִসবাজার।