আমাদের প্রতিটি শীতের রাত্রিতে এসে পড়ে উদ্ভ্রান্ত যত বিস্ময়ি পথ;
যার সমূহ দেহে আঁকা থাকে,
স্বয়ং তোমার কোমল বাহু আর তমসাবৃত চুলের খোপা।
আমি সেসব ভাস্কর্যপ্রেমী পথদের মুগ্ধতা জানিয়েছি;
বলেছি পাহাড় সমুদ্র ও নদীর প্রান্তরে কেনো বয়ে যাস তুই?
নতুবা আমাদের প্রেম পূর্ব ইতিহাসেও কেনো দেখলামনা তোর এ কারুকাজ?
নিঃশ্চুপে দেহ বিলিয়ে দেয় সে পথ;
নিরুত্তরেই সমর্পন করে নিজেকে আমাদের পদচ্ছাপে।
আমরা হিম শীতল নিশি মাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছি সেসব নঁকশী আঁকা পথে;
তোমার গর্দান জুড়ে লেপ্টে আছে উষ্ণতার এক নিদারুণ স্নিগ্ধতা।


দু'জনা এক দেহতে হাঁটছি আর আমি অনুরাগের পরাগ মাখছি;
আমার চোখে কপালে আর শুষ্ক অধর জোড়ায় তীব্র এক প্রচ্ছন্ন মোহে।
বানোয়াট যত কবিতারা এসে আমাদের পথ রুদ্ধ করছে;
আর তুমি ভ্রু কুঁচকে প্রতিবারই থমকে দাঁড়াও।
কি নির্বাক করা সে যাত্রাতে তুমি এক মুহূর্তও বিচ্ছিন্ন করোনি;
আমার মুষ্টিবদ্ধ আঙুলের সংস্পর্শ আর চৌম্বকীয় সে দৃষ্টির চাহনী।


একসময় জর্জরিত কুয়াশার নিরেট মরুভূমিতে আমারা হারিয়ে যাই অনন্ত;
অথচ আমাদের সবটা বিষাদ দগ্ধিত হতে হতে আমরা মিলিত হচ্ছিলাম তখন নিকটে থেকে অতি নিকটে।
সত্যি সত্যি জড়ানোর সে নিবিড় বেলায় আমরা অদৃশ্য হই অন্তহীনে;
কিন্তু আজও কিছুই মুছেনি দেখো এই শীতার্ত রাতের হৃৎপিন্ড হতে।
তোমার সেই কোমল বাহু, তমসাবৃত চুলের খোপা আর বিনয়ী সব পদাঙ্ক;
টাটকা এখনো তোমার শুভ্র আকড়ে থাকার স্পর্শ আর নিমলিত দৃষ্টির চাহনী।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Oct.30_01.30 রজনী।