আমার বাম প্রকোষ্ঠে অণামিকা রেখে,
হাঁটছো দিব্যি তুমি তোমার গন্তব্যে আমার হয়ে একান্ত।


আমরা প্রকাণ্ড মাঘের নিরেট তীব্রতা চিড়ে চিড়ে,
নিটোল এক পাল্লায় নেমেছি উদীচী মেরুতে ভেসে যাওয়ার।
এখন গহীন গভীর বিরাতের ঠিক মধ্যাহ্ন,
ধরণীর আন্তরীক্ষ চিলে খসে পড়ছে হিম মিশ্রিত ঠান্ডার নক্ষত্রপুঞ্জী।


তোমার পেট্রোলিয়াম আবৃত অধর জোড়া বেশ শুষ্ক হয়ে আসছে,
আর আমার তুষার মিশ্রিত অক্ষিতে সমুদয় জলের ফোয়ারা তখন।
ডানা মেলা সেই বিস্তৃত মহীরূহের শেকড় তলে,
আমরা সমস্ত যাত্রা জুড়ে কেবল একবারই বিশ্রান্তি কুড়িয়েছি।


নিকষ রাত্রির উৎকৃষ্ট এক আঁধার রমণী হয়ে উঠছো তুমি ক্রমশই,
কোন অতি নিবিষ্ট পুরুষ হয়ে যেন আমি মিশে যাচ্ছি তোমার দেহযষ্টিতে, অন্তর ও আত্মায়।
এই দাম্পত্যের বিষম ভীষণ সম্পৃক্ততার চিত্রপট থেকে,
দীঘল কামনার বিস্তীর্ণ দৃশ্যাবলী আচ্ছাদিত করছে এই যাত্রা।


উদীচীর অন্ত প্রান্তে আমরা ভ্রমণ স্তিমিত করেছি মাত্র,
যেখানে প্রত্যাশার উত্তাপ শ্বাস নিবিড় প্রতীক্ষামগ্ন হয়ে আছে।


এখানটায় বিরল এই নৈঃশব্দের ভিতরে, তোমার প্রতিচ্ছবি মিশে আছে অক্ষত ক্ষপাট হয়ে,
নিসর্গের সবটা উপাদানে সুনিপুণ লেপ্টে আছো তুমি ও তোমার আঁখির কাজল পরাগ।


অতঃপর তোমাতে নিরুদ্দেশ হলাম আমি অনন্ত এক অন্তিম অজানায় চিরন্তন,
হয়ত তোমার অস্পর্শী ওই বক্ষে মিশে যেতে যেতে, ঢলে পড়বো মৃত্যুর কোলে কোন একসময়।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.23_01.30 রজনী।