আমিতো দিয়েছি সর্বস্ব সমূলে ছেড়ে,
বিরাতের নিকষ নিরেট তমসার পরতে প্রান্তরে।
বিবাগে অনুরাগে সবটা মোহ ভুলে স্বচিত্তে,
নিয়েছি নির্বাসন মেনে বেদনার নীল কারাগারে।


ডুবে যাওয়া মহাকাব্যিক কালের আবর্তনে,
নির্দ্বিধায় অনন্ত আমি আছি মিশে প্রাণান্ত।
প্রাচীন প্রাচীরের জীর্ণশীর্ণ করোটির ভাঁজে,
অস্ফুট বর্ণে রচিত সেসব আমার বিলুপ্তি চক্র কথা।


চেতনার নির্মোহ আত্মার মোহনায় গোলক চিড়ে দেখি,
পড়ে আছে শত সহস্র অজস্র যন্ত্রণার বিষাদি রচনা।
বিদীর্ণ হৃৎপিন্ডের লেলিহান অনল শিখায়,
পুঁড়ছি যত তীব্র যাতনার আঁকা বিস্মৃতি।


সবিনয়ে আমি বিনম্র চিত্তে সহসায় নিয়েছি গড়ে,
প্রকট এই হাহাকারপূর্ণ যাপনের অধিকার।
আমাতে নেই কোন অভিযোগ, নেই নিংড়ানো কোন অনুযোগ,
চেতনার মানসপটে আছে কেবল একাকীত্বের দীর্ঘ যাত্রা।


একান্ত একাগ্রচিত্তে দেবো পাড়ি নিজর্ন নিভৃতে,
শতাব্দি অবধি সভ্যতার অভূত পরিবর্তন পরিবর্ধন পরেও।
অভিষিক্ত স্বপ্রয়াসের অন্ত ছুঁয়েই তবে একদিন,
ধরণীর এই আটপৌরের গহীন হতে স্বেচ্ছায় ফিরবো নির্লিপ্তে।


নিটোল ব্রহ্মাণ্ডের অষ্টপৃষ্ঠে যবে,
অধিষ্ঠিত হবে স্বকীয় প্রাণের উচ্ছ্বল আনাগোনা।
সশব্দে উচ্চারিত হবে যবে বৈষম্যহীন চেতনার স্বাধীনতা,
প্রকম্পিত হবে ন্যায়ের গর্জনে আসমান জমিন নিমিষেই।
সেই বেলায় সেই প্রত্যাশিত গোধূলীর মহা লগ্নে,
আমি ফের আবির্ভূত হবো নব জন্মে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।


যবে থাকবেনা অক্ষির পর্ণে রূক্ষ মানবতার শুষ্ক অশ্রু,
যবে পুঁড়িবেনা সূক্ষ গোঁঢ়ামীর ধুম্রজালে কোন দ্বীন ধর্ম।
সেই প্রতিষ্ঠিত স্বর্গ সম্রাজ্যের চরণ ধুলোয়,
ফিরবো আমি হয়ে কোন নিরস্ত্র অথর্ব আততায়ী আপতিক পরিযায়ী হয়ে।


দেখা হবে স্বর্গীয় সম্রাজ্যের,
বিপ্লবী অশ্বারোহী হয়ে…


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.26_01.10 রজনী।