ধরো হঠাৎ ভুল করে─
অসীম নিকটে পরে হুটহাট এসে জমেছে নিকষ নীরদ অভ্রে,
তুমি কি বেহুলা হবে, নাকি জড়িয়ে ধরবে নীরবে আমায়?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
বিস্তীর্ণ ঢাঁশা উদ্যানের মাঝে হানা দিলো দাবানল উত্তাপ,
তুমি কি ভয়ে কুকড়িয়ে যাবে নাকি খুব করে চেপে রাখবে আমায়?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
কোন অভিশপ্ত চাহনীর গর্জনে অবরুদ্ধ আমি লৌহ শৃঙ্খলে,
তুমি কি নির্মম পরিহাস ভেবে চেয়ে রবে নীরবে নাকি প্রকম্পিঁত প্রতিবাদে চূর্ণ করবে সে লৌহ প্রসাদ?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
শতাব্দি অবধি সব'টা ক্ষৌণীতে পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও আমায়,
তুমি কি শ্রান্ত প্রশ্বাসে পুঁড়িয়ে দিবে আমায় নাকি দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকবে মৃত্যুর সীমারেখা ছুঁয়ে অন্তহীন?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
দিব্যি ধরণীর আনাচে কানাচে ধ্বনিত হচ্ছে বিচ্ছেদী যত সংবাদ,
তুমি কি ক্রন্দনে মূর্ছা যাবে নির্বাক নাকি আলৌকিক মহীমায় বাঁধবে আমায় তোমার অন্তর আত্মায়?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
নির্জন করিডোরের গ্রীল হয়ে দাঁড়িয়ে আনমনা অকারণ নিভে গেলো সমস্ত সোডিয়াম শহরের,
তুমি কি ভীষণ উৎকণ্ঠায় চুপষে যাবে নাকি অস্ফুট স্বরে আমাতে ঠায় নেবে আপোনায়?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
কোন নির্জন মধ্যরাতের আলাপচারীতায় বয়ে এলো প্রকান্ড কালবোশেখী,
তুমি কি নিথর নিস্তব্ধ হয়ে যাবে নাকি দৃপ্ত কণ্ঠে মিশিয়ে নিবে আমায় তোমার লুব্ধ ঔষ্ঠে আর অনুগ্র গ্রীবায়?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
অবিচ্ছেদ্য নীলাভ জ্যোৎস্নার তলে নেমে এলো ঘোর অমানিশা হাহাকার,
তুমি কি হতভম্ব হবে নাকি হাতড়ে খুঁজে নিবে আমায় প্রাণান্ত?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
গহীন বিরাতে দুজনা পূর্ণ শশীর নিবিড় স্পর্শে আচমকা ঢেকে এলো নিকষ অমবস্যা,
তুমি কি প্রচন্ড নিভৃত হবে নাকি আরো বেশি নিটোল মায়ায় অনেকটা মিশে যাবে আমার বক্ষে অনন্ত?


ধরো হঠাৎ ভুল করে─
জীবনের অপরাহ্নে সায়াহ্ন ঢলে পড়েছে উভয়ের মম প্রাণে,
তুমি কি অবলীলায় সব প্রেম ভুলে নির্জীব হয়ে যাবে নাকি তখনো সেভাবে দৃষ্টিতে দৃষ্টি তাক করে বলবে ষ্ট্রেইটকাট,
ভালোবাসি, ভালোবাসি।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jan.20_01.20 রজনী।