আমি মৃত্যুকে দেখি,
প্রতিক্ষণ নিত্যদিন।
বিবর্ণ ফ্যাকাশে আবার,
কখনোবা খুব রঙিন।


মৃত্যু থাকে লুকিয়ে,
পরিত্যক্ত মানবের শীর্ণ জ্যাকেটে।
মৃত্যু থাকে নিশ্চিত,
নিরীহ দৃষ্টির সুপ্ত কোণাতে।


অপ্রষ্ফুটিত মুকুল হৃৎস্পন্দনে,
চলে বয়ে মৃত্যু অহরহ।
নিষ্পাপ ক্ষুধার নিস্তব্ধ মিনতিতেও,
মৃত্যুর অগাধ সমারোহ।


অনাগত কালের বিবর্তনে,
হয় মৃত্যু সওয়ারী।
অনিশ্চিত জীবনের প্রতি লগ্নেও,
থাকে মৃত্যুর বেপারী।


নিয়তির অনাহুত পদাঙ্কের প্রতিচ্ছাপে,
মৃত্যু সদা জাগ্রত।
স্তব্ধিত বিবেকের গহীন হৃৎপিন্ডেও,
মৃত্যু সু-বিস্তৃত।


আলো আঁধারির  নিরেট পরতে,
মৃত্যুর নিকষ অস্তিত্ব।
নৈশব্দ্যের গহীন নিরালায়ও,
মৃত্যু অবাধে সমাদৃত।


উদ্রভ্রান্ত খোয়াবের দলছুট পালে,
মৃত্যু থাকে নিহিত।
বিবর্ণ  নীরদের জমাট জলেও,
মৃত্যু সহসায় গৃহিত।


আসন্ন বিরাতের নিটোল প্রভাতে,
মৃত্যুর সদা আগমণ।
সদ্য জন্মানো কোমল ভোরেও,
মৃত্যু আসে অগণন।


মৃত্যু আসে মৃত্যু যায়,
মৃত্যুর অজস্র ক্ষণ।
মৃত্যু কাড়ে মৃত্যু চলে,
সব প্রাণের স্পন্দন।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Jun.15_01.50 রজনী।