এইতো সেই মেয়ে─
যাকে দেখে দিব্যি বিলুপ্ত হয়,
ভীষণ ব্যস্ত নগরীর সমস্ত ক্লেশ ও ক্লান্তি।
যার দৃষ্টির তীক্ষ্ন চাহনীতে সহসায় ফোঁড়ে যায়,
কোন চির বিনিদ্র যুবকের আজন্ম জাগানিয়া অক্ষি গোলক।


এইতো সেই মেয়ে─
যার নিদারুণ মোহের তীব্র অনুভবে,
দোলা লাগে কোন অতৃপ্ত পথিকের মরু শুষ্ক হৃদয়ো প্রান্তরে।
যাকে চিত্তের সবটা সম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী করে,
অবলীলায় ইতিহাস খচিত করে কোন বিনয়ী পুরুষ।


এইতো সেই মেয়ে─
যার অমলিন এক বিমল হাসির প্রখরতায়,
সবটা প্রচ্ছন্নতা ভেসে যায় কোন মানবের নিগূঢ় রজনীর।
যাকে নিটোল এক তৃপ্তির নিবিড় বন্ধনে,
খুব করে মিশিয়ে নেয় অনন্ত প্রত্যাশার অমিয় সুধায়।


এইতো সেই মেয়ে─
যে যুগ থেকে যুগান্তর অবধি প্রযত্নে লালিত হয়,
কোন নিঃসঙ্গ যুবকের সমগ্র একাকীত্বের বিপ্রতীপ প্রতিটি মুহূর্ত ক্ষণে।
যার অদৃশ্য উপস্থিতির হৃৎস্পর্শী অনুভূতি মাতাল করে,
কোন পরিযায়ীর অন্তহীন স্বপ্নের বর্ণীল আত্মাকে।


এইতো সেই মেয়ে─
যার অনুপম মাধুর্যের অকল্পনীয় সৌন্দর্যে,
অন্তিম লগ্নে নিমিষেই পৌঁছায় কোন যাযাবরের সুপ্ত কামনার অঢেল বাসনা।
যার অবর্ণনীয় স্নিগ্ধতার নিটোল অনুরাগে,
সুবাশীতো হয় কোন চির বিনিদ্র নিশাচরের তন্দ্রাহীন বিরাতের প্রতিক্ষণ।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Feb.13_01.05 রজনী।