বিরাতে নিকষ অতলে হৃদয়ের গহীন ভাঁজ খুলে দেখি,
নিঃশব্দে গেঁথে আছে ছোপ ছোপ নিরেট আঁধার শত।


নির্বিঘ্নে যেথায় অবিশ্রান্ত ঘুরেফেরে সরিসৃপের মত,
বিস্মৃতির বিষাক্ত বিষাদি সহস্র সশস্ত্র বহর।


পাঁজর চিড়ে গলগল করে বেয়ে পড়ে শীহরিত কালছে রক্তস্রোত,
শীরদাড়া হতে আচমকা প্রকম্পিত হয় বিক্ষত ইতিহাসের শব্দাক্ষর।


এখানে তুমুল এক প্রলয়ের মধ্য দিয়ে যামিনীর প্রবেশ,
চূড়ান্ত উপসংহারে যা প্রলম্বিত হয় ভোর হতে প্রভাতে।


এখানে নীরবে থমকে দাড়ায় বিরাতের আমূল সংজ্ঞা,
প্রতীচী জানলার বিনিদ্র গ্রীল ধরে হয়ে উঠে যা বিষণ্ন দারুণ এক প্রহর।


নিষ্প্রাণ নগরীর চোরা অলি গলি দিব্যি জেগে রয়,
তন্দ্রাভুখ দু নেত্রের পর্ণ পাতায় পাতায়।


নিশিতের দীর্ঘ দেহ জুড়ে নেমে আসে ধ্রুব নিস্তব্ধতা,
নির্জনতার হাত ধরে রচিত হয় সুখকর যত ক্ষণের নিশ্চিহ্নতা।


সোডিয়ামের স্নিগ্ধ প্রভায় মিলে যায় সুদূরের দৃষ্টি,
বিচ্ছিন্ন যত বেলা অবেলার আলাপনে মুখরিত থাকে নির্বাক বেলকনি।


অতীত পোড়া গন্ধে বিভোর থাকে পিশাচী বাতাবরণ,
অনায়াসে যা করে তুলে মননে মৃত্যুপুরীর এক মহা সম্রাজ্য।


আমি প্রভাতের শুশোভিত শিশির হয়ে অন্তিম লগ্নে,
তোমার খোলা চুলের অজস্র ঢগায় সিক্ত হয় মাতাল প্রেমে।


হুমম এতোটাই ভালোবাসি।


রচনাকাল-
হোটেল স্টার পার্ক, চকবাজার, চট্টগ্রাম।
2015·Apr·21_02·40 রজনী।