আমার প্রতীচী জানলার কার্ণিশ দিব্যি নগ্নই থাকে,
অনন্ত এক প্রত্যাশার মিলন ঘটবে বলে হঠাৎ।


রাত্রির নরম দেহ ছুঁয়ে আসবে বলে কামনার সুর,
বাজবে বলে প্রাণান্ত সম্ভারে পূর্ণতার পিয়ানো।


প্রিয়তার উষ্ণ প্রশ্বাস ঘাড়ে চেপে অনন্ত,
বিস্ময় এক নির্বাকে গড়ে তুলি কল্পনায় প্রেমের নিটোল আল্পনা।


সেভাবেই রজনীর উন্মুক্ত উন্মাদ জানালা জেগে রয়,
অপূর্ণ হৃদয়ের শূণ্য হৃৎপিন্ডের আকুল আবেদনে।


এখানে অবিরাম অবিশ্রান্ত উত্তাপ মোহের জাগরণে,
গলিত হয় শত সহস্র বাস্তবতার ইস্পাত কঠিন উপাদান।


যার লালাভ দাবানলে নির্বিকার দহন হয় নিমিষেই নিকষ,
অগ্রগামী অগণন স্বপ্নের নিষ্পাপ সুপ্ত স্বপ্নরা।


অতীতের নির্লজ্জ এমন জোচ্ছুরিতে বিরাত হয় উঠে ক্রমশই,
একেকটি পাশবিক খুনির পৈশাচিক মরণাস্ত্র।


পরক্ষণেই গগণ প্রখরিত হয়ে উঠে চিরন্তন সত্যে,
আর অনাগত প্রভাত স্বাক্ষী হয় অসংখ্য স্বপ্নের লাশের।


খুনির চোখে দৃষ্টি রেখে অথর্ব রয় মহাকাল,
ইতিহাসের পত্র পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ হয় সে খুনি ফেরারী হয়ে।


আততায়ী শেষহীন আশার জলজ্যান্ত সে খুনির হাত ধরে,
আমি ফের এগিয়ে চলি নির্মমতার সম্রাজ্যে নির্বিঘ্নে।


অতঃপর ফের খুন হই পিশাচী যামিনীর নির্দয় বুলেটে,
যার অবিরল রক্তস্রোতে ভেসে যায় আমার কামনার বিক্ষত তরী।


প্রিয়তা আমার প্রতীচী জানলার কার্ণিশ খোলা রবে অইন্দ্য তবুও,
ইচ্ছে হলে হঠাৎ একটিবার উকি দিয়ে যেও।


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবজার।
2015.Apr.06_12.10 রাত্রি।