এখানে যামিনীর ঘোর অতলে অবিরত মিশে যায়,
মধ্য বিরাতের হিংস্র যত শ্রিগালের বেসুরো ডাক।


অনুনয়ে উড়ে আসে পাথরি ডানার বিকৃত আকৃতির বিহঙ্গ,
আর তপস্যামগ্ন বিস্মৃতির গহীনে জেঁকে বসে বিষাদের ডাকপিয়ন।


ঝিঁঝিঁদের বহর সর্বস্ব সমিষ্টিক কোরাস গায় বিষন্নের,
বড্ড অচিন আর বিচ্ছিন্ন সে বটতলে প্রকম্পনী মিছিল হয় বিরহের।


প্রিয়তা তুমি নেই বলে-
এখানে একাকীত্বের দামামা বাজে নিরন্তর ভীষণ,
না পাওয়ার বিষম ঘূর্ণীতে ঝড় উঠে বিক্ষত হয় দলছুট স্বপ্নরা।


বিরাতের চক্রে জানি বিষাদের মর্মতলে প্রস্ফুটিত হবে ফের,
সদ্য মৃত্যু পুষ্পের নিকষ বিষাক্ত মুকুলের স্পন্দন একদা।


যে পুষ্পের তীব্র দহনে ক্রমান্বয়ে ফুরিয়ে এই তিমির,
সমুদয় দুঃসহ ক্লেশ চেপে ফের উঠে আসবে নিত্যের নব প্রভাত।


জানো প্রিয়তা?
বিস্ময়ে একদিন প্রাণান্ত রটে যাবে এই যাতনার ইতিহাস,
মহাকালের অতি আশ্চর্য শত সহস্র নক্ষত্রের পরতে পরতে।


না'হয় দেখে নিও তুমি…


রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Apr.11_02.00 রজনী।