সীমাহীন এক অন্তরঙ্গ মঞ্চ ছেড়ে,
অদ্ভুত তুমি উঠে এলে স্বয়ং।
শয় শয় আঁধারের আস্তরণের বাঁকে বেড়ে উঠা,
কোন আপতিক পরিযায়ী বিভ্রম যুবকের চোখে।


যে তোমাকে বাসে প্রকান্ড ভালো,
সে তাকেই বিচূর্ণ করে এ যাত্রা তোমার।
অনাগত কালের চূড়ান্ত শয্যাশয়ী চিহ্নে তুমি,
অনড় এক তুখোড় গন্তব্য স্থাপনে উন্মুখ ও ব্যস্ত ভীষণ।


আচ্ছা রাজহংসী,
সুদূরের নিকটবর্তী অপ্যায়নের মুর্ছনা ফেলে,
এ কোন বেসুরো পিয়ানোতে ক্রমশই হাত বুলাচ্ছো তুমি?
যৌবনের শৈশবে যে বীজ বপেছিলে বক্ষের অন্তঃস্থলে,
আজ অবিশ্রান্ত সে ঠিকানাকেই দিব্যি পরিত্রাণ করে দিচ্ছো নিমিষেই।


অসচ্ছল যাপনের নির্জন কুটরিতে জন্মানো অমসৃণ চিত্তলয়ে,
এমন কিইবা আছে বলো সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ?
যা তোমাকে নিতান্তই নিয়ে যাচ্ছে তুমুল,
এক গহীন প্রেমের অন্তহীন মিলন সুধায়।


আত্মভোলার ভেলায় চষে প্রাণান্ত রচিত এই গান তোমার,
ঠিকই একদা নিয়ে যাবে প্রত্যাশিত মহলের দ্বারে।
শুধু বিভ্রম স্বপ্নের আশার ডালে রেখোনা,
অযাচিত ধেয়ে আসা সেসব দুর্বোধ্য চিন্তার পসরা।


ভাবছো কি মৃত্যুকালে ঢলে পড়বে তুমি সে ভেলায়?


না, জাগ্রত চেতনার উজ্জ্বল কামনার প্রদীপ জ্বেলে অনন্ত,
তুমি সুনিশ্চিত ছুঁয়ে যাবে সে পরিযায়ী যুবকের উল্লাসিত অন্তর ও আত্মা।
কথা দিলাম…


রচনাকাল-
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
2015.Apr.09_12.20 রাত্রি।