হঠাৎ একদিন রক্তগঙ্গা বয়ে যেতে যেতে,
আমাদের আলাপনগুলো মিশে গেলো রূধিরাক্ত স্রোতে।
গভীর নৈঃশব্দের নির্জনে সহসায় ঢুকে গেলো চোখের ভাষা,
আর বেশ পুরু আস্তরণের সুখের ডালগুলো ক্রমশই মুড়িয়ে গেলো অনায়াসে।
.
নির্বাক আর অতি আশ্চর্যিত আঁধারের অতলে শুয়ে ছিলো,
কোন এক কালের উভয় উভয়ের যত আদর, ভালোবাসা ও যত্নগুলো নিঃশব্দে।
দিকভ্রান্ত অগণন স্মৃতি বিস্মৃতির পাহাড় ধ্বসে,
সদ্য জন্ম নিলো নিত্য নিকষ মৃত্যুর সমনের জারী।
.
কামনার তীব্র প্রত্যাশাগুলো পতিত হলো অনন্ত,
সদ্য ভোরের অপ্রস্ফুটিত নিকষ মৃত্যুপুষ্পের পরাগে পরাগে।
সেখানে দিব্যি বিরাতে অতন্দ্র প্রহরে জড়ো হতো অগণন,
বিচ্ছেদের শত সহস্র বিদীর্ণ চাওয়া পাওয়ার অধিকার।
.
অতৃপ্ত চিত্তের অজস্র অভিযোগে বিনিদ্র হতো চেতনা নিরবধি,
আর হৃদয়ের রক্তিম আলো ক্রমশই শামিল হতো মৃত্যুর মিছিলে।
ব্যাকুল মোহের অকাল মরণের ফাঁদে আটকে যেতো দৃষ্টি,
অকুল বেদনার নীলাভ সিন্ধুতে আয়োজন হতো হাহাকারের উর্মিমালা।
.
নিস্তব্ধতার অসীম নিঃশব্দে হারানোর বিবর্ণ ঝংকারে,
প্রকম্পিতো হয়ে বিচূর্ণ হতো মননের সুপ্ত যত প্রাপ্তির বাণীগুচ্ছ।
সভ্যতার বিবর্তনের পরতে পরতে আজও খচিত আছে যাতনার হিংস্র সে দামামা,
আর সময়ের তেপান্তরের কালের চক্রে এখনও জাগ্রত হয় ওসব অতীত আলাপন আমাতে।
.
রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Feb.19_01.15 রজনী।