আয়নায় বেজে উঠে বৃষ্টি ঝরা দিন; ভেজা উঠোন,
ঝমঝম শব্দ মুখরে বিলীনতার উল্লাসধ্বনি।
পাথুরে বৃক্ষে মর্মরতার ছাপ শাখায়; ডালে ডালে,
শ্রাবণ ঠাসা নিবিষ্ট বর্ষার এ এক ধর্মশালার পাঠদান।
বহুকাল আগের প্রকৃতির নিয়মিত সূচিপত্রের এমন চর্চা; অস্তিত্ব বহমান,
নৈসর্গিক কালের স্রোতে ডুবে আছে ধরণী, সুসজ্জিত খেয়ালে।
পথে পথে বিবস্ত্র বিষপুষ্পের হাতছানি; মৃত্যুর করুণ ডাক,
ফুটে আছে ক্ষণস্থয়ী জন্মের সদ্য দাগ, তবুও ধ্বংস ছোবল।
আকাশ বেণী খুলে, আছড়ে পড়ে ঝরা চুলের নক্ষত্র; সংঘবদ্ধ বহর,
তুলতুলে নীরদের বুকে ক্ষীণ হলে স্থান, ফুরোয় জমাট বাঁধার সুখ।
শ্রাবণের কর্তৃত্বাধীনে জিম্মি নদীর কচুরিপনা; ঘাসফুলের শৈশব,
পর্বতের গুহায় আর্দ্রতার রাজত্ব, আঁধারের তৃষ্ণা পূরণ।
অমোঘ নিয়মে ঋতুর প্রেক্ষাগৃহে শীতের আসন্নতা; চৈত্রের দাবদাহ,
আমূল পরিবর্তনে কাশফুলের জন্মলাভ, পাখিদের স্বাধীনতা।
অপেক্ষা
প্রতীক্ষা
রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Jul.25_10.10 রাত্রি।