(রু সিরিজ)


বিরাত চলে গেছে, বিনিদ্র ঐ হিজলতলে সহসায়| রাত্রির বুক ফাঁটা উল্লাসে, বেপরোয়া এই নগরী জাগ্রত হবেনা এতটুকুনও জানি| তাই নিশ্চিন্তে তুমি বেলকনির গ্রীল ধরে, রাত্রি বিলাস করতে পারো প্রিয়তা রু| তোমার শুশোভিত ঐ চোখের শুভ্র দৃষ্টি সুদূরে নিক্ষেপ করে, খুঁজে নিতে পারো কে আছে এখনো বোসে দিব্যি নির্জনে সেই সোডিয়াম ল্যাম্পোষ্টের নিচে| অথর্ব কোন সে পথিক বিজন শহরের নীরব জনপদে, নির্বাক উন্মুক হৃদয় খোলে প্রতীক্ষমান, তুমি জেনে নাও নির্দ্বিধায়| বিরান পথ ধরে যেসব স্বপ্ন আজও পিছু ডাকে তোমায়, যে অতৃপ্ত চাওয়া এখনো প্রকম্পিত করে তোমার অন্তর, সে অক্ষত আশার পসরা সাঁজিয়ে কে প্রেম ভরা আকুলতায় চেয়ে আছে প্রাণান্ত তোমাতে, তুমি আত্মা দিয়ে তা শুদ্ধ করে শনাক্ত করে নাও| বিস্তীর্ণ নিশির আঁধার গড়া প্রাচীরের অন্দরে তোমার দাবানল জ্বলে আছে অনন্য, তুমি আদিগন্ত ছুঁয়ে শুধু একটিবার হেঁটে যাও প্রিয়, তবে দেখবে সে দাবানল মৃত্যুর নির্মম বেদনায় ছারখার হয়ে আছে নিদারুণ| বলো এই রাত আর কতটুক পোড়ায়, পোড়াতে পারে জীবনের নীরিহ অধিকার যত| তবে প্রলম্বিত এই নিকষ বিরহের নীলাভ বেদনার অধ্যায়, নিমিষেই হয়ে যাক স্নিগ্ধ কোমল কোন প্রভাতের নির্মল বিমল ভোর| তুমি চলে এসো প্রিয়তা না পাওয়ার এই তমসার গহীন রাজ্য চিড়ে, ফের ভূমিষ্ঠ হও সঞ্চারিত এই হৃদয়ের মোহনায় খুব করে আমাতে|



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Apr.27_03.05 রজনী।