তুমিতো দেখোনি বিরহের জ্বালানিতে—
অগ্নি মুখরিত বিষাদের রাত্রি,
তবে তোমায় বোঝাই কি করে সে রাত্রির সর্বস্ব অনল স্ফুলিঙ্গে কাতর—
নক্ষত্র থেকে চন্দ্রমল্লিকার জ্যোৎস্না সুধা অবধি।


তুমিতো দেখোনি পুড়ে পুড়ে ভস্ম হওয়া—
এক পথিকের কোন কাব্যিক মহাকাল,
তবে তোমায় পড়াই কি করে সে দহিত কাব্যগাঁথা—
একেকটা পৃষ্ঠার বিচ্ছেদের আলাপন।


তুমিতো শোননি কী নিদারুণ বেজে যাওয়া সভ্যতার পাড় ধরে—
একাকীত্বের বিষণ্নতার সুর,
তবে কি করে তোমার কর্ণে প্রবাহিত করি সে অবিশ্রান্ত বয়ে চলা—
বিক্ষত যাপনের বিমর্ষ গীত সম্ভার।


তুমিতো পাত করোনি শ্রবণের শক্তি বিনাশী—
এক দাবানলের ধ্বংস হুঙ্কার,
তবে তোমার শ্রবণের মাত্রায় কি করে তুলে আনি—
সে গর্জিত বিচূর্ণের বিক্রমী রণ চূরমার।


তুমিতো গাওনি প্রেম-বীণার বাদকে—
ভালোবাসার বর্ণীল কলতান সুরঞ্জনার পিয়াস,
তবে কি করে ফোঁটাই বলো তোমার চিত্তরণ্যে—
স্নিগ্ধ কামনার শুভ্র সুললিত গানের ব্যাঞ্জনা।


তুমি আধো রাত্রি; ভেঙে যাওয়া তীব্রতর সুখ পবনের কাঁচ,
সঞ্চীত লালাভ ব্যথার নীল কমলে; ভেসে উঠা বিরহিনীর নাচ।


তুমি নিকষ নীরদে আঁধার; ঝরঝর বাদলের কম্পিত ডাক,
আসন্ন মহা প্রলয়ের পূর্বাবাস; রক্ত স্রোতের ফাঁদঘেরা বাঁক।


তুমি উড়ে আসা বেমালুম; সংজ্ঞাহীন বারির সারি,
অসময়ের চাহনী বিভ্রাট; ব্রত চিত্তে এঁকে তোলা দুর্বোধ্য এক নারী।


তুমি আগুন ভরা ব্যথার ফাগুন; অবিরল বয়ে চলা ঘোর সন্ধ্যা,
নেমে আসা সজ্জিত বহরে ত্রাসের মহাক্ষণ; অস্তিমিত সানন্দা।


তুমি উর্বশী ভুলে ভরা চিত্রাঙ্কণ; রূপসীর মানসপটে প্রাঞ্জল মানবী,
দুঃসহ দুঃসাধ্যের মহাকাব্য; অর্থহীন খেয়ালে রচিত দুরন্ত এক প্রেমের নাদাবী।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.Aug.21_12.40 রাত্রি।