আমি হন্য হয় খুঁজেছি অরণ্যের বন্যের মত কেবল,
এক ফোঁটা শুদ্ধতার অতি উত্তম চাকনিতে পরিশোধীত বীর্যের তরে।


নিটোল এই সভ্যতার অন্দরে বন্দরে ভিতরে ও বাহিরে সর্বস্ব,
সদ্য ফোঁটা ভোরের ধনিষ্ঠায় পায়নি দারুণ সেই কাঙ্ক্ষিত ভ্রুণ।


নিভন্ত নিষুপ্ত নিশির নিকষ নিষণ্ন মর্মরে নিভৃত মগ্নে,
আমি আজও তল্লাসে ব্রত চরম সে ভ্রুণ এই সভ্যতার পরম তল্লাটে।


কি অদ্ভুত মহিমায় প্রণেদিত হয়ে বিবর্ণ জীবনে এই আমি,
দুরন্ত দুর্বারে দুর্বিসহ দাবানলে ডিঙিয়ে খোঁজেই চলেছি এক জীবাত্মা কোমল।


এই অনিঃশেষ যাত্রার মহাকালে যদি অনন্ত ডুবে যায় আমি নিদারুণ,
তবে আকুল বিনয়ে আশ্রীত আমার সহস্র কামনা জিইয়ে রেখেই সমাধিস্থ করিও হে প্রীতম।


যদি কাল প্রভাতের সুপ্ত কাননের শুভ্র পরাগের স্নিগ্ধ অনুরাগে,
আমি মৃত্যুর ঘোর তপস্যায় আবৃত হয়ে অস্তমিত হয়ে বিলুপ্ত হই, তবে দিগন্তের ওপারে নীল ছোঁয়া বৃষ্টিতে আমি থাকবো মিশে প্রাণান্ত।


তবুও এই ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের রক্তের মশাল জ্বেলে অনিরুদ্ধ আমি,
খুঁজে যাবো ঐ বহুল প্রত্যাশিত নবজাতকের নিষ্পাপ মনোহরী প্রজন্ম।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.01_12.10 রাত্রি।