তারপর ঔষ্ঠদ্বয় থেতলে দেওয়া হলো সুনিপূণভাবে,
অক্ষি গোলক নিমিষেই গলে গেলো উত্তপ্ত শিশার তরল দাবনালে।


ক্রমান্বয়ে তুলে নিলো রক্তের ফিনকিতে ভরপুর নখগুলো,
নিদারুণ ইলেকট্রিক শকে নিস্তব্ধ নিস্তার হলো হৃৎ স্পন্দন।


তীব্র পেশি শক্তির স্বজোরে উপুর্যুপুরী বয়ে গেলো,
হাতুড়ির এলোমেলো আঘাতের কম্পিত তুফান ঝড়।


উত্তপ্ত অগ্নি লৌহের ছেকায় নিমিষেই ঝলসে গেছে,
বক্ষ হতে সু-মসৃণ আটপিঠের বিস্তীর্ণ চামড়ার প্রলেপ।


প্রশ্বাস আটকে সুকঠিন বাঁধনে বদ্ধ ভিজে গামছায়,
মুহূর্তেই লঙ্কা মিশ্রিত ঝাঁঝালো জলের ধারায় অবচেতনে অসাড়।


উলঙ্গ পুরুষাঙ্গে জুড়ে আছে দোদুল্যমান ইষ্টক পাথর,
কখনোবা বিরামহীন ক্রমাগত ঢলা হয় উত্তাপ আয়রন পায়ের তলায়।


হস্তের মৃদু আঙ্গুলে নির্মমতায় চলে সুচের এফোঁড় ওফোঁড়,
আবার সেই আঙ্গুলের অগ্রভাগ পোড়া হয় গ্যাস লাইটের নীল শিখায়।


বিনিদ্রতায় অহরহ রজনী চলে গেছে উল্টো ঝুলে আপাদমস্তক,
সহস্র ভোল্টের বৈদ্যুতিক তেজস্ক্রীয়তায় ঝলসে যায় মুখাবয়ব।


এভাবেই মৃত্যুর লালাভ কক্ষপথে প্রতিনিয়তই পরিভ্রমণ আমার,
আর অজান্তেই রোজ বেঁচে আসি বিজয়ের সুষম সুধা পান করে প্রাণান্ত।


চূড়ান্ত উপসংহারে কলুষিত বারুদের মারণাস্ত্রগুলো,
সবিনয়ে পরাজিত হয়ে পরাস্ত মস্তকে অবনত হয় আমার চরণ প্রণামে।


পরিশেষে উন্মুক্ত হয় আরেকটি ইতিহাসের মৃত্যুঞ্জয়ি দ্বার,
যে দ্বারে খুদিত আছে একজন অশ্বারোহীর অবয়ব।



রচনাকাল-
হলিডে মোড়, কক্ִসবাজার।
2015.May.03_11.35 রাত্রি।