বিষণ্ন বিষম বিরাতের মধ্য প্রহরে যদি ঘুম না আসে,
তবে দখিনা জানলার গ্রীল ধরে সুদূর চাহনীতে দাঁড়িও নীরবে।


অগণন সহস্র যে মেঘবাদলগুলো বিমর্ষ চিত্তে ফিরে গিয়েছিলো,
তোমার নিদারুণ যত অযত্ন অবহেলার বিমূঢ়তায়।


সেসব মেঘবাদলের পূণঃজন্ম হবে প্রাণান্ত আবার,
নির্বাক অতৃপ্ত চিত্তে দাঁড়িও তুমি জানলার ফাঁক ধরে।


কোমল  ঔষ্ঠদ্বয়ে যে জলফোঁটা এক বিন্দু শিশির হয়ে লেপ্টে যেতে চেয়েছিলো খুব,
সেও দিব্যি জাগ্রত হবে আবার তোমার বেলকনির ফুল টবের অরণ্য ঘাসে।


যে শুভ্র কাননের মাতাল স্নিগ্ধের নির্মল পুষ্পটি দারুণ,
হতে চেয়েছিলো তোমার এলোকেশি খোপার নিবিড়তায় বিভোর সঙ্গী।


সেই ব্যাকুল আকুলতায় পূর্ণ ফুলটি ফের প্রস্ফুটিত হবে অনপুম,
ছুঁয়ে দিতে তোমার মন খারাপের ক্ষণের বড্ড অগোছালো শত চুল।


ভীষণ একাকীত্বে যবে মগ্ন পায়চারি করবে এঘর-ওঘর,
তখন বাতাসে আত্ম অনুশোচনার চিহ্ন একে দিয়ে যেও।


তারপর তোমার স্পর্শহীনে বক্ষের যে তরতাজা লোমগুলো বিবর্ণ হয়েছিলো,
সেসব অর্ধমৃত ভারী তৃষ্ণার্ত পশমগুলো এসে তোমায় সঙ্গ দেবে উষ্ণ প্রেম হয়ে।


অতঃপর সেই বনফুলের আর্তনাদে মধ্যরাতের বিনিদ্র পাখির ডানায় আমি আসবো,
তোমার দখিনা জানলার গ্রীলের পরতে পরতে ছড়িয়ে দেবো নিটোল ভালোবাসার সুঘ্রাণ।


নিস্তব্ধ নিথর নির্জন রজনীতে যদি ঘুম না আসে,
তবে সত্যি-ই তুমি জানলা গ্রীলে ভাবিও আমায়।


আমি আসবো ফের তোমাতে আপোনায় পরম প্রযত্নে,
তোমার হৃৎপিন্ডের আকুল করা ব্যাকুল কামনার প্রতিধ্বনি হয়ে।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.04_03.10 রজনী।