কি উদ্ভট মানুষ্য তোমরা-
যে পৃথিবী এখন নিয়ন্ত্রিত হয়,
শয় শয় পরমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্রের মর্মর ভয়ে।
যে পৃথিবী প্রাণান্ত গেয়ে চলে আদর্শের গান,
কেবলমাত্র মোড়লদের লিখিত লাইনের স্ক্রীপ্টে।
যে পৃথিবী ক্ষমাতাশালীর মানবতায় আত্মচিৎকারে প্রকম্পিত করে,
তার দেহাংশ আসমানের এপার ওপার প্রবল।
যে পৃথিবী কোণঠাসা করে নিজস্ব গণ্ডিতে মানবাধিকার।


তোমরা নাকি বলো আমায়,
সেই পৃথিবীর বুকেই শান্তি খুঁজে নিতে প্রকান্ড।


তোমরা মানুষ্য পিন্ড ,
তাই ইতিহাস ভুলে যাও দারুণ।
অর্থের চাকচিক্যতায় অতীত দুঃখ ভুলে গেয়ে যাও,
মডার্ণ সম্প্রদায়ের হাত ধরে সুশ্রী সাম্যের গান।
নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস পায়ে ঢলে পিষ্ট করে হেঁটে যাও,
আসন্ন গ্লাস ভর্তি মাদকতার প্রকট যৌনতার লাল গালিচায়।
তোমাদের মানুষ্য অবয়ব আকৃতি নিটোল,
তাই বেদনার রক্ত স্রোতে ডিজিটাল তরী ভাসিয়ে গড়ে তোল সুখের প্রাসাদ।


ঐ অদূরের জনশূণ্য বিরান পর্বতের নিস্তব্ধে নীরব,
ক্ষত বিক্ষত ধূসর পাথর দেখো ভীষণ খেয়ালীর চাহনীতে।
ইতিহাসের রক্তাক্ত হিংস্র আচরণে যে প্রস্তর ঠায় নিশ্চুপ,
বোবা হয়ে আছে মহাকালের সদ্য সাক্ষী হয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রচন্ড।


হে মানুষ্য জাতি তোমার জানো?
সেই প্রস্তর শিলা আজও ক্রন্দনে বিলাপ করে ইতিহাসের পৃষ্ঠা সমূহ,
যে পৃষ্ঠা পত্রে স্পষ্ট ছাপ আছে তোমদেরই ভাইয়ের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাবয়ব।
কী নিদারুণ পরিহাসের ফলশ্রুতি আজ তবে তোমরা,
মিশে গ্যাছো অনন্য নিজ গোষ্ঠি বিনাস করা সেই হায়েনার দলে।


তোমরা মানুষ তাই আভিজাত্যের নিপূণ বিলাসিতার অসীম ফূর্তিতে,
গর্দানে গর্দান মিলিয়ে শয্যাশয়ী হও সেসব ঐতিহাসিক খুনিদের অন্দর মহলে।


তোমার মানুষ তাই ইতিহাস ভুলে অভিন্ন হও গলে গলে সহসায়,
পাথর নির্বিকার অক্ষম চির নির্বাসিত তবু পাথর কখনো নয়।
হে মাওলা,
মানুষ নয় আমায় পাথর করে দাও।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.09_11.30 রাত্রি।