একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
উত্তাপ রবির কিরণ প্রখর অস্ত হয়ে আসতো,
পোড়া পাতার শুষ্ক শিরায় খানিক স্পন্দন জাগতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
অগ্নি দুপুর বেজায় ভীষণ ধূসর হয়ে যেতো,
আগুন ঝরা দাবানলে হিমালয় জুড়ে বসতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
কর্কশ রোদের দৃষ্টি আলোয় ঠান্ডা বয়ে যেতো,
বোশেখী রোদের দাবদাহ কোমল পরশ ছুঁয়ে দিতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
উদাস বেলার খুব যে করুণ ক্লান্তি কেটে যেতো,
খুব জড়িয়ে জলের ধারা বর্ণীল রঙধনু আঁকতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
খাঁ খাঁ দারুণ তপ্ত খরার বুক ফাটা ভাঁজ খুলতো,
মাটির নিকষ তৃষ্ণা যত তৃপ্ত হয়ে হাসতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
মনের প্রান্তে রোদ্র ছেড়ে ঝুম বর্ষণ নামতো,
উৎসুক শত নর নারী চুপসে ভিজে শুভ্র প্রেমে ডুবতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
নীল প্রেয়সীর বিন্দু ঘামে শিশির হয়ে আসতো,
মাতাল বিভোর বৃষ্টি ভেজা চুলের সুবাস ভাসতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
মেঘলা বিকেল গ্রীলের ধারে চা-য়ে চুমুক পড়তো,
মান ভাঙ্গানো খুনসুটিতে হাসির গল্প জমতো।


একটু বৃষ্টি হলেও পারতো-
ধূসর মলিন ব্যস্ত ঠাসা জীবন নির্মল হয়ে উঠতো,
হৃদয় পাড়ে শ্রাবণধারা রিমঝিমিয়ে পড়তো।


মেঘগুলো সব পায়েল পরে, হৃদয় তলে পেখম মেলে ঝমঝমিয়ে নাচতো,
একটু বৃষ্টি হলেও পারতো…



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.11_12.30 রাত্রি।