সেই রাত্রিগুলো হারিয়ে গেছে অনন্তে নিদারুণ অরণ্যের অজানায়,
যে রাত্রিগুলোতে রোজই সমাদৃত হতো মানব চাষাবাদের ইতিহাস চর্চার আসর।


হন্য হয়ে ভীষণ যুগ থেকে শতাব্দির চোখের মণিতে,
আর আদিমতা হারানো  সভ্যতায় খুঁজি ফিরি সেই রাত্রি কালভাদ্রে।


সদ্য বিকল ল্যাম্পোষ্টের নির্জনতাও হারিয়েছে প্রাণান্ত,
নিঝুম আঁধারের চির সম্ভার আর নীরবতার নিকষ প্রলেপের আস্তরণ যত।


ফোটন্ত যামিনীর জন্ম লগ্ন হতে প্রভাত পূর্ব রজনীর পরতে পরতে নিশ্ছিদ্রে,
আর পরিত্যক্ত সময়ের গহীন গভীর ভাঁজের অতলে খুঁজে চলি সেই নিশ্চুপতার সমূহ আয়োজন।


নিটোল প্রেম উল্লাসে টইটুম্বুর প্রেয়সীর চোখে,
নেই সেই ভরপুর ভালোবাসার বিমুগ্ধ করা একান্ত মুহূর্ত ক্ষণ।


কত রাত থেকে বিরাতে বিবর্ণ আকাশের বুকে হাতে রেখে,
আমি জিঘাংসার কণ্ঠে খুঁজেছি অবিরাম সেই প্রেম।


সমুদয় নোনা সিন্ধুর বিস্তৃত জলের ফোয়ারায় নেই কিঞ্চিত,
উত্তাল লহরীর অবিশ্রান্ত গর্জন আর শারি শারি তীব্রময় বালির চিকচিক তীর।


সামুদ্রিক মাছেদের কঠোর করোটির শিরা উপশিরায়,
আর লালাভ কাঁকড়ার বহরে তল্লাসে আজও ব্রত আমি সেই সিন্ধুর স্পন্দন।


দিগন্ত চিড়ে নেমে আসা নিত্য প্রথম ভোর আমি ধরতে চেয়ছি খুব,
চেয়েছি স্নিগ্ধ শিশিরের শুভ্র পুষ্পের নির্মল পরশের শোভিত ঘ্রাণ।


আমি পাইনি কোথাও কিছুই।


পেয়েছি কেবল মানব হত্যার নির্মম পৈশাচিকতার মতাদর্শ,
পেয়েছি তাজা বুলেট আর বিস্ফোরিত গ্রেনেডের ঝাঁঝালো আদর্শ।


পেয়েছি কেবল মাংসাশী সর্বগ্রাসী, হায়েনার লোলুপ দৃষ্টি ধূর্ততা,
আর নিরীহ করুণ আর্তনাদে, কম্পিত হাহাকারের ধর্ষিতা।


পেয়েছি কেবল স্বার্থের ছলে, করে যাওয়া যুবক যুবতির প্রেমাভিনয়,
আর স্বার্থ গিলে সুনিপুণ নকশায়, প্রতারণার দারুণ গল্পদ্বয়।


পেয়েছি কেবল ভূরি-ভূরি দালান, আর চকচকা জীবনের প্রমোদ বিলাস,
পেয়েছি শত  ফুটপাথের ঐ, অবুঝ শিশুর কান্না ছোয়া বিলাপ।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.20_03.10 রজনী।