কবিতাহীন কেটে গিয়েছিলো পুরো এক জীবন আমার প্রচন্ড,
অযত্ন আর অনীহার পরম লালনে শব্দরা হয়েছিলো নিরুদ্দেশ।


তাই আজও আছে ঠায় এই রাত্রির গূঢ় আঁধার যত,
প্রখরিত সব কবিতার স্নিগ্ধ রোশনাই থেকে বঞ্চিত।


বিস্তৃত বিমুগ্ধতার কপাট চিড়ে বয়ে আসা অনুপম,
শত সহস্র জলজ্যান্ত শব্দের মহড়া হয়েছিলো দূর্বোধ্য বড়ই।


তাই আজও থমকে আছে রজনীর ঘোর নিস্তব্ধতা অঢেল,
বিনিদ্র কবিতার বিবিধ মাতম হারিয়ে নিমিষেই।


তারপর হঠাৎ আচমকা নীরব সাম্রাজ্য হয়ে উঠে ক্রমশই,
প্রকান্ড কবিতাহীনতার করুণ আর্তনাদের হাহাকারে ভরপুর।


বর্ণনাতীত কাব্যহীনতার জর্জরিত যন্ত্রণার প্রতাপে,
পৃথিবী হয়েছিলো অপ্রেমের নীল বিষে মুমূর্ষ  বিষম।


চূড়ান্ত উপসংহারে নিশ্চিহ্ন হয়েছিলো সেই ধরার অস্তিত্ব সমূলে,
আর আসমানী ইতিহাসের পত্র পাতায় রচিত হয়েছিলো কবিতাহীন এক পৃথিবীর ধ্বংসযজ্ঞের শানে নুযুল।


সেই বিচূর্ণ ধরণীর সুপ্ত গর্ভাশয়ে জন্মেছিলাম আমি,
ছিলাম অনন্য এক নিকষ কবিতাহীন ধরণীর বুকে প্রবল ক্ষুধিত পাঠক।


অতঃপর নব জন্মের পরে আত্ম জীবনী পাঠে জেনেছি,
সেই আমি আজও বেঁচে আছি অমৃত কবিতার যাযাবর এক নিটোল পাঠক হয়ে বিস্ময়।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.22_01.20 রজনী।