শোণো একটি জানালার গল্প বলি তোমায়-
শুকতারা আর সন্ধ্যাতারার, মিলন হতো যেথায়,
জ্যোৎস্নাবিলাস রাত্রিবিলাস, রোজই হতো সেথায়।


শোণো একটি জানালার গল্প বলি তোমায়-
স্মৃতির যত সুখেরই ক্ষণ, পড়তো গলে দারুণ,
যার কিনারার কার্ণীশ ছুঁয়ে, হতো হৃদয় অরুণ।


শোণো একটি জানালার গল্প বলি তোমায়-
প্রতীচী সেই গ্রীলের ধারে, ফুঁটতো জোড়া পুষ্প,
রূপার মৃদু পায়েল সুরে, উঠতো জেগে শিশির জমা শষ্প।


শোণো একটি জানালার গল্প বলি তোমায়-
যেই জানলায় থাকতো পড়ে, শত বিনিদ্র কাব্য,
রাত বিরাতের কল্পছায়া, থাকতো লেখা পরম মায়ায় দিব্য।


শোণো একটি জানালার গল্প বলি তোমায়-
যেই জানালা হয়ে গ্যাছে, আজ বদ্ধ বিকল জরাজীর্ণ,
যেই জানালা আলোকিহীনে, আজ বন্দী আঁধার বিশীর্ণ।


শোণো সেই জানালার মৃত্যু বলি তোমায়-
অকাল করুণ মৃত্যু ক্ষুধার, সেই জানালা এখন আহার,
যেই জানলার পরত কণায় আছে মিশে, একটি নামের হাহাকার।


শোণো সেই জানালার মৃত্যু বলি তোমায়-
তোমার নিত্য উড়া অবাচী সেই, জানালা হতে প্রিয়,
প্রতীচী সেই জানালার নিকষ, মৃত্যুর কারণ খুঁজে নিও।



রচনাকাল-
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.18_02.10 রজনী।