তারপর এসব রাত্রি  মিশে যাক বিনা সন্দিহানে,
তামাম ধরণীর আসন্ন প্রভাতের নরম বুকের হিয়ায়।


এখানে চির জাগ্রত কোন মানবের বিনিদ্র আঁখিদ্বয়ে,
ঘোর তপস্যায় ধ্যান মগ্ন হয় অলিক প্রেম সমগ্র।


অথচ কি নিদারুণ অচেতনে নিবৃত চিত্তে নীরবতায় ডুবে,
অদূর প্রান্তে মানবী হয়ে রয় জীবন্ত এক আসহাবে কাহাফ।


বিধ্বস্ত সেসব রজনীর ইতিকথা,
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ভূমিষ্ঠ হয়নি কখনোই;
বিনিদ্র সেই অচিন নীল অক্ষির বিহঙ্গের পালকে পালকে কেবল মুদ্রিত আছে আজও।


অনন্ত এসব রাত্রি চলে যায় অজানা কোন দিগন্তের নিষ্প্রাণ মৃত উদ্যানে,
আর সময়ের বিবর্তনে  আমি হয়ে উঠি ক্রমশ সে উদ্যানের দিকহীন এক আপতিক পরিযায়ী।



রচনাকাল-
হারবাং, চকরিয়া, কক্ִসবাজার।
2015.May.27_03.40 রজনী।