তার'চে বরং চলো আমরা ডুবে যায় পৃথিবীর অবিখ্যাত সব মানুষের সমাধিস্থলে।
এই জীবন্ত চেতনার মৃত খোলসাবৃত ধরণী ক্রমশই হয়ে উঠছে যেন, বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের হায়েনামী আর নষ্টামির অভয়ারণ্য।
অতৃপ্ত হৃৎপিন্ডে পোড়া মাংসের বীভৎস ঘ্রাণ নিয়ে চলো, ভন্ডামির এই মহা সমারোহের মহোৎসব থেকে আমরা অস্ত যাই অন্তিম।


দিগন্তহীন ট্রেনের হুইসেল, স্নিগ্ধ সকাল আর শুভ্র অনুপম পুষ্প, কিংবা কাননের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌমাছির গুঞ্জন,
এসবহীন এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আজ হয়ে উঠেছে প্রকান্ড  বিভীষিকাময় আর প্রচন্ড আঁধারের সম্ভ্রান্ত পাহাড়গুচ্ছ।


গর্তের বাইরে ইদুরের উন্মুক্ত গর্জন যেমন সর্পকে ত্বরান্বীত করে; শিকারে, তেমনি এই বিবর্ণ ধরার বৈষম্যগুলোও নিশ্চিত অগ্রগামী করছে আমাদের মৃত্যুকে।


তার'চে বরং চলো,
এসব নির্মম মৃত্যুর পৈশাচিক খোরাক না হয়ে আমরা শামিল হয়ে যাই;
বড্ড অপরিচিত আর অব্যক্ত মানবদের চির নিদ্রার শান্ত মিছিলে নিজস্ব আয়োজনে।



রচনাকাল-
2015.May.29_02.40 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।