তোমার অপ্রকাশিত কিংবা অঘোষিত সেই রাত্রির সাথে পরিণয়ের পর থেকে,
এই রাত হয়ে গ্যাছে আমাতে ভীষণ বিষম এক বুভুক্ষু ড্রাকুলা।


জ্যান্ত কামনার এসব প্রবাহমান রক্ত স্রোতের ফোয়ারা দেখতে দেখতে,
আমার নেত্রদ্বয় বিষে টনটন হয়ে ঢলে পড়ছে নিকষ কালচে দুর্বিসহ বিস্মৃতির পর্বত গুহার অতলে।


প্রশ্বাসের নখদর্পনে নেই জীবনের নিয়ন্ত্রণ,
অসংজ্ঞায়িত রাত্রির আমূল পরিবর্তনে ইতিহাস হয়ে উঠছে বিকৃত ক্রমশই।


চির গলন্ত এসব সময়ের তেপান্তরে ক্ষুধার্ত ভ্যাম্পায়ারগুলো প্রহরা বসায়,
আমার যাবতীয় তন্দ্রার প্রাকৃতিক চলাচলের পথ সমূহে।


তবে আকাশের সীমানা ছেড়ে বিরহের দামামা বাজিয়ে একটিবার,
নৈঃশব্দের পরতে পরতে পৌঁছে দাও তোমার আমার বিচ্ছেদের প্রতিটি অধ্যায়ের সব পরিচ্ছেদ।


তারপর ইতিহাস বদলে যাক ক্রমান্বয়ে নিটোল,
আর আমায় তুলে ধরুক একজন পাষাণ্ড হিংস্র হৃৎপিন্ডের নির্মম নির্দয় প্রেমিক হিসেবে এ বিশ্ব পারাপারে।


কারণ ভালোবাসার চূড়ান্ত উপসংহারে এই পৃথিবী দেখেছে অহরহ শত সহস্র,
প্রেমিকই খুন হতে নিদারুণ প্রেমিকার নিপূণ রচিত ইতিহাসের পাতায় পাতায়।


আর সভ্যতা কেবল প্রেমিকার ইতিহাসকেই লালন করে বুকে সযত্নে পরমে,
যে কথা জানে বিগত সমস্ত খুন হওয়া প্রেমিকের আত্মা স্পন্দন।



রচনাকাল-
2015.May.29_02.24 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।