হে তমসাবৃত বিস্তর রজনী সম্ভার,
বিস্মৃতির দুর্ধর্ষ সব হিংস্রতার পেখম মেলোনা আর।


মনোরঞ্জীত সুখের আকাশে খুলে দাও অঝোর ধারায়,
দীর্ঘ জীবনের সুনিপুণ প্রত্যাশার শ্রাবণ অর্গল।


যে বর্ষার শ্রাবণের ফোঁটায় ফোঁটায় চিড়ে হবে বিদীর্ণ,
প্রশস্ত হতাশার প্রান্তর আর অবিশ্রান্ত একাকীত্বের বক্ষ।


আমার বিবর্ণ দৃষ্টির বন্দরে নোঙর করা আছে সহস্র,
অস্পর্শী অতৃপ্ত কামনার ক্ষত বিক্ষত চেতনার জাহাজ।


তাই নিকষ বেদনার মর্ম দ্বার অবগুণ্ঠন রেখে,
কেবল সুপেয় সু'প্রেমের বর্ণীল প্রশান্তির জল দাও একান্ত।


আমাকে তোমার বিস্তীর্ণ রাজত্বের এক চিলতে চাষাবাদী জায়গা দাও,
তাতে আমি কামনার সাগর বানিয়ে হৃদয়-তৃপ্ত মাস্তুলে;
মিলনের উচ্ছ্বাসিত জাহাজ ভাসাবো প্রাণান্ত।


হে রজনী সম্ভার,
আমি তোমার বুভুক্ষ ব্যথার নিদারুণ দংশনের নীল বেদনা নয়,
আমি তোমার অসীম শূণ্যতার কিছুটার মালিকানা চাই।



রচনাকাল-
2015.May.29_01.22 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।