অনাবিল আর অনন্ত হঁটছি প্রাণান্ত হতে সেই জন্মান্তরের,
হয়নি শেষ পথ হয়নি দেখা ডানা মেলা সুবিস্তীর্ণ রোদ্দুরের।
একা চলে গেছে মেঠোপথ সুদূরে ঘেষে অসীম অনু-রথ,
পায়নি ছুঁতে নীল আসমান আসেনি স্পর্শ তালুতে দুপর্বতের গিরিপথ।
ছলছল স্রোতধারায় ঝরে গেছে অনন্য চিকচিক জলরাশি তুফান,
উড়ে গেছে মাতাল এলোমেলো বেহুলা দখিনা হাওয়ার কলতান।
শীতল টকটকে অপরাহ্নের গায়ে ছিলো রক্তজবার আকুল করা ঘ্রাণ,
গোধূলির শেষ লগ্নে মিশে ছিলো হারানোর ব্যাকুল আহ্ববান।
সরব চতুর সন্ধ্যার আবহে মেতে উঠা দূরপাল্লার পাখি অহরহ,
গড়ে দেয় অনিন্দ্য প্রকৃতির বিস্ময়ী গানের সুমিষ্টি সমারোহ।
এভাবেই রাত্রি ঘনিয়ে আসন্ন বিরাতের আমি নির্বাক বাউন্ডুলে,
নৈসর্গিক অতিথির চাদরে আবৃত দারুণ এক যাযাবর ব্রহ্মাণ্ডতলে।
রচনাকাল-
2015.Jun.12_07.25 সায়াহ্ন।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।