ও চোখে স্বপ্ন আছে অজস্র, তারায় তারায় বাঁধা, জ্যোৎস্নার নীলাভে আঁকা। ছুঁয়োনা ওসব, ঝরে যাবে নিদারুণ অকালে হাহাকারের বিভীষিকায়, কারণ তুমি অভিশপ্ত।
ইতিহাস ক্ষমার দৃষ্টি ফেলেনি, বিগত নির্মমতার তুমি নায়িকার উপর। বীরত্বের শ্রেষ্ঠ দর্পনে দর্পিত হিংস্রতায়, তুমি বিভোর রমণী হয়েই থাকবে আদি হতে অনন্ত।
ও বুকে উপচে পড়া কামনার অতৃপ্ত বাসনা আছে, জীবন্ত চেতনার পরতে পরতে, অস্পর্শী প্রত্যাশার ভাঁজের খাঁজে। দ্যাখোনা ওসব, পুড়ে দগ্ধ হবে নিঠুর প্রশ্বাসের লেলিহান কার্বনডাইঅক্সাইডে, কারণ তুমি পৈশাচিক পিশাচিনী।
বাস্তবতার বিষাক্ত হুল গেঁথে আছে, তোমার পাঁজরে দেহাংশে। জুলুমির বারুদে তুমি পিষ্ট হয়ে সর্বাগ্রে হয়ে উঠেছো, জলজ্যান্ত প্রেতাত্মার প্রখর এক খোলস।
ও হৃৎপিন্ডে ক্ষুধিত স্নিগ্ধ প্রেম আছে পরম, জীবনের চলমান মোহনার প্রত্যেক মুহূর্তে মুহূর্তে, সহস্র বর্ণীল আকাঙ্ক্ষার তুমুল আলোড়নে। নিটোল প্রেম মগ্নে প্রেয়সী হয়োনা ওই প্রেমের, ধূসরে বিবর্ণ হবে নিমিষেই আকুল, কারণ তুমি যোগ্যহীন এক দূর্বোধ্য বিকৃত ভালোবাসার সুপাত্রী এখন।
প্রেরিত প্রেমকে নির্মমতার রক্তস্রোতে যে তরীতে ভাসিয়েছিলে, সেই লৌহ সিন্ধুর উন্মত্ত উন্মাদ প্রহরী স্বত্ত্বাধিকারীনি এখন তুমি।
ভুলে যাও হে আগন্তুক ছদ্মবেশী প্রিয়তমা, তীক্ষ্ণ দূরদর্শীতায় বোধদয় করো নিজেকে, কেনো তিরস্কারের চূড়ান্ত মূল্যায়নে সংজ্ঞায়িত তুমি!!
তারপর গগন বিদারী ক্রন্দনে প্রকম্পিত করো তোলো ধরণী, এবং ব্রহ্মাণ্ডের পৃষ্ঠায় লিখে দাও তোমার কলিজা দিয়ে একটি লাইন-
পৃথ্বীরাজ মহীরূহ বেঁচে আছে বিস্ময়ি নশ্বরহীনে।
রচনাকাল-
2015.Jun.20_0115 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।