অবিরল বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের
অতীত ইতিহাস খুলতেই স্বরূপ,
হুড়মুড়িয়ে গড়িয়ে এলো প্রাচীণ শোকগাঁথা নির্মমতার ইতিকথা।


শয় শয় অধ্যায়ের পরিচ্ছেদে মিশে আছে নিদারুণ আর্তনাদ,
আর নির্দয় আঘাতের তরতাজা রক্তের জমাট বাঁধা পিন্ড অজস্র।


মানুষ্য জেনেছে প্রকৃতির কি ভয়াল থাবার চিড় নির্বাক,
এবং ক্ষয়ে ক্ষয়ে যুগ যুগান্তর আচমকা জাগ্রত হয় সে থাবার আচড়।


তাই জীবনের কী আমূল সংজ্ঞার বৃত্তান্ত রচিত করতে গিয়ে আমি,
বরাবরই ইতিহাস উন্মুক্ত করে বসি আক্রমণের শিকার ব্যথিত চক্ষু নিয়ে।


অতঃপর পর্যাপ্ত সুশৃঙ্খল খেয়ালের অনটনে নিকষ,
বিদীর্ণ হয় আমার রচনার অভিজান সূচনালগ্নেই হিংস্রতায়।


ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের পরে এসে জড়ো হয় এখানটায় অসহায় হাহাকার,
প্লাবনের ঝংকারে ঝংকৃত অঢেল জলের ঢলের নিঃস্বের চিত্রপট।


এখানে গল্প থাকে অমলিন, হাজারও বিবর্ণ ব্যথার সমাহারে,
হারানোর গল্প, নিঃস্ব হওয়ার গল্প আর অবিরত শুষ্ক ক্রন্দনের গল্প নিটোল।


ইতিহাস তার স্বপাঠে জানিয়ে দিলো আরও একটি গল্পের ইতিবৃত্ত,
বানের জলেও নাকি জ্যোৎস্নার গল্পও থাকে; আর সে গল্পের নাম আলোহীন রিমঝিম জ্যোৎস্নার গল্প।


কিন্তু সব জ্যোৎস্নাই মানুষ্যকে স্নিগ্ধতায় শুভ্র করেনা,
কিছু জ্যোৎস্না আছে এমন, যা মানুষ্যকে প্লাবিত করে অসীম শূণ্যতার বিচূর্ণতায়।


খুব সম্ভবত এখন আমি বিকল কলমে বন্দি আছে প্রবল,
সেই মহা শূণ্যতার অসীম জ্যোৎস্না মুখর জলজ জনপদে।



রচনাকাল-
2015.Jun.27_01.45 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।