আকাশ রাত্রি বিলায় নৈসর্গের আবহমান প্রাচীরে,
স্মৃতির ঈশান কোণে জমে উঠে অতীতের কলতান, আড্ডা।


রোমন্থনের অগোছালো মহূর্তগুলো উকি দেয়,
বিষণ্ন কফির ধোঁয়া উঠা পেয়ালার চুমুকে চুমুকে।


বিকল প্রেমের হাতছানিতে ভরে উঠে জানালার কার্ণীশ,
বিষাক্ত দহনে ঠাসা ব্যালকনি হয়ে যায় দগ্ধিত তেপান্তর।


নীরব পায়চারির ঘনত্বে জমে যায় হাহাকার চশমার ফ্রেমে,
নিশ্চুপ যত অতৃপ্ত দলছুট স্বপ্নেরা জড়ো হয় ধোঁয়াশা মনপটে।


পরক্ষণেই বিলীন হয় আশার মঞ্জিলে সুপ্তে সংরক্ষিত কামনারা,
তৃষ্ণিত দু'চোখের স্লোগানে মুখরিত চিলে-কোঠা।


বহু শাতাব্দি আগে আমাদের দ্বি'হৃদয় অন্ধবেগে ধেয়েছিলো,
বিষাদের পুঞ্জমেঘের ভারী খন্ডের অতল গহরের পরতে পরতে।


নিভৃত চিত্তে গহীন নির্জনায় বাসা বেঁধে অনাদিকাল,
বিচ্ছেদের রাক্তাক্ত স্রোতে ভেসে ছিলো অনন্ত সেই হৃদয় জোড়া।


এখনো সভ্যতার পালাবদলে আজও অক্ষত অক্ষুণ্ন সেসব কথা,
আধুনিক কংক্রীটিয় নগরের প্রান্তরে মিশে আছে যা সুনিপূণ।


এখানে জন্মের পরেও শত বর্ষ ধরে আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে,
একাকীত্বের নিকষ উঠোনে আলাপন করি বেড়ে উঠা রাত্রির সাথে।


আর ইতিহাসের মুখপাত্র হয়ে জবানবন্দি দিই কালের পরিক্রমাকে,
জানি ইতিহাস বেঁচে রয় অনন্তকাল নিরবধি মসৃণ হয়ে ধরায়।


ফের যখন সেই হৃদয়রে ভূমিষ্ঠ হবে ভিন্ন কোন উদ্যানে,
তবে সেদিন এই ইতিহাস পড়ে নিও জীবনের অসমাপ্ত অধ্যায় স্মরণে।


হয়ত অনাগত তৎকালে আমি নিশ্চিহ্নের পথে মুছে যাবো তখন,
তবুও তোমার ইতিহাস পড়া ক্রন্দনের অশ্রু লিপিতে থাকবে আমার ছোঁয়া।


জানো?
হৃদয় জেগে রয় অনাবিল অসীম অনন্ত,
দেহবশেষ ধ্বংসের অজস্র কাল পরেও প্রাণান্ত।



রচনাকাল-
2015.Jul.04_12.45 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।