যখন রাত নামে অসীম,
প্রতীচী জানালার ফ্রেম ভরে উঠে বিস্মৃতির কল্লোলে।
পল্লোবিত হাহাকারে ভেসে যায় রাত সমগ্র আঁধারমালা,
অপূর্ণতার সম্ভার সমস্ত জাগ্রত হয়ে ভূমিষ্ঠ করে একাকীত্ব।


যখন রাত নামে অসীম,
সুপ্ত স্বপ্নের আসন্ন খুনীরা সাজ সজ্জায় মেতে উঠে।
নৈঃশব্দের শৃঙ্খলে রুদ্ধ হয় সেসব ক্রন্দন; বিষাক্ত বাতাস,
আর মহাসিন্ধুর মিলিত ঢেউতে মিশে যায় ওসব হত্যাযজ্ঞ; আততায়ীর নাম।


যখন রাত নামে অসীম,
তামাম বিশ্বের আধ্যাত্মিক শক্তিরা পুঞ্জীভূত হয় দারুণ।
আমার সম্পূর্ণ কবিতারা হয়ে যায় বিলীন মহাশূণ্যে,
একেকটি শব্দেরা হয়ে উঠে কোন বিকৃত অভিধানের ঔরষজাত ওয়ারিশ।


যখন রাত নামে অসীম,
মানবীয় সকল প্রাকৃতিকতা মুছে আমি হয়ে উঠি এক পরিযায়ী।
মানুষ্যত্বের বানানো সংবিধানের আইন অনুষদে,
হয়ে যায় এক নিকষ মানুষাবয়ব আকৃতির অসহায় বিহঙ্গ; বাজ।


যখন রাত নামে অসীম,
পৃথিবীর উলম্ব রেখা ধরে রচিত হয় আমার মৃত্যু,
যে মৃত্যুতে নেই কোন সৎকার, নেই সম্প্রদানের চিরাচরিত নিয়ম; প্রথা।


এই মৃত্যুর নাম নেই; নেই যার সনদ,
নেই স্বীকৃতি যে মৃত্যুর, ইতিহাসে।
এখন রাত নেমেছে অসীম…



রচনাকাল-
2015.Jul.08_02.35 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।