তারপর বাম প্রকোষ্ঠে খুব নিকটের নগরে ঢুকে পড়লাম,
মোড় হতে অলি গলিতে ছড়িয়ে আছে বিপ্লবের শোধিত রূধির।


হায়েনার বীভৎস ফনায় মাতোয়ারা বাতাবরণ,
রেড এ্যালার্ট জারি হওয়া নগর কেন্দ্রীক নির্জনতা ধাবমান।


নিষিদ্ধ প্রতিবাদ; আবদ্ধ তার যাবতীয় আয়োজন,
চোখে মুখে আঁধার সমেত পথে হাঁটছি সুদূর।


রাত্রির তমসা গলে পড়ে স্বেচ্চাচারীর রাজত্বে,
আর ক্রমশই আমি ডুবে যাই অসমাপ্ত কবিতার হাটে।


বিরাজমান নৈঃশব্দের ভিতরে আটকে আছি নিস্তব্ধতার দেয়ালে,
আজ স্বাভাবিক প্রকৃতিতে ফেরার আর কোন জো নেই।


খুনের ষড়যন্ত্রে ভীড় জমছে তীক্ষ্ণ নখরের শকুন,
মৃত্যুর আলিঙ্গনে ভেসে আসছে আগাম শোক সংবাদ।


রক্ত পুড়িয়ে পুড়িয়ে যুগান্তর পরে যাত্রা স্তিমিত হলো,
বাম প্রকোষ্ঠের ভালোবাসায় নেমে এলো অগ্রজের ছায়ানট।


জীবনের শ্লোক বেয়ে উৎসারিত গন্তব্যে কোন প্রেম নেই,
আছে অতিশয় সজ্জিত মোহ আর স্বেচ্চাচারীর রাজত্বের আখড়া।


শুনেছি যে জীবন সেই নগরে ঢুকে পড়ে একবার,
সে স্পন্দন মন্থর হয়ে যায় অতৃপ্ত প্রেমের অনুসন্ধানে।


তাই আমি ভুলে গেছি রমণীর হাত, ভরা যৌবণ,
ভুলেছি সমস্ত আবেগের তৃষ্ণার্ত চাওয়া আর পাওয়া সমগ্র।


এ চকচকা মোহের অতল গহরে মিথ্যে প্রবোধের সম্ভার,
এতো নয় কোন নিরেট বাস্তবতার দারুণ প্রতিফলন।


ধরা হতে আত্মার মন মন্দিরে আজ নেই কোন প্রেম,
নেই বিন্দু ফোঁটায়ও ভালোবাসার কোন অমৃত অমিয় সুধা।


এই ধরা এই সভ্যতা আজ হয়ে গেছে বিভীষিকাময় এক প্রান্তর,
ভরে গেছে স্বৈরাচারীর দখলে পৈশাচিকতায় অনন্য।


আজ আমি যাযাবরতার সংজ্ঞা এঁকে ফের বিপ্লবী হবো,
হে পৃথিবী সরে দাড়াও, অবমুক্ত করে দাও অর্গল; আমি জন্ম নিবো।



রচনাকাল-
2015.Jul.09_11.10 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।