একদা জং ধরা শীর্ণ স্টেশনের প্রতীক্ষার গল্প লিখতে লিখতে,
নেমে এসেছিলো রাতদুপুরে আন্তরীক্ষের যাবতীয় নক্ষত্রপুঞ্জী সদ্য।


অপেক্ষমান যাযবর সে সম্রাটের দিন ফুরিয়ে এলে প্রতিবার,
গুমোট মুখে এলিয়ে দিতো বিরহ বিধুর ক্লান্ত ও-মন।


বিনিদ্রতার নিদারুণ যাতনায় কয়েকদফা পাথর ফুঁটেছিলো,
আর পর্বতমালা খসে ক্ষয় হয়েছিলো লালাভ দুচোখের দ্যুতিতে।


সেসব ঝাঁজালো স্মৃতি বিস্মৃতির পুনরাবৃত্তি হতে হতেই,
আজ বিঘ্নিত স্বরে ভেসে এলো বিলুপ্তির ঐতিহাসিক কারণ।


কত সহস্র হুইসেল বেজে গেছে সেই আশার সঞ্চারী তামাটে স্টেশনে,
আজও অতি সংক্ষিপ্ত চোখের আঙিনায় সেই বিবর্ণ প্লাটফর্ম; ইষ্টক প্রান্তর।


সে বিষণ্ন চোখের ভাষা; লেপ্টে থাকা চাতকের অধীর প্রহর,
জমে আছে সব ঝুলে থাকা পেন্ডুলাম নিষিদ্ধ দেয়ালিকায় অক্ষুণ্ন।


ক্ষয়িষ্ণু এ জীবনের পত্র পাতায় থাকে অমলিন কিছু ব্রত সমাচার,
জানি এমনই এক দুরন্ত সংজ্ঞায় হয়ে থাকে আঁকা জীবনের সমাহার।



রচনাকাল-
2015.Jul.10_01.25 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।