রুদ্ধনিঃশ্বাসে ঢুকে যাও অক্ষি গোলক মণিতে,
নিশ্ছিদ্র কারুকাজে এঁকে দাও সমস্ত নক্ষত্রের স্নিগ্ধতা।


কবিতার লোমশ পাঁজরে বিপ্লবীর বিব্রত ওড়নার গল্প বলো তখন,
তারপর সুনিপুণ হৃদয়ের অতলে গড়ে তোল প্রত্যাশার গণজোয়ার।


কথা দিচ্ছি-
আগামী আষাঢ়ের শ্রাবণী বারিধারায়,
টুপটাপ মাতাল ছন্দে ফ্রেম বন্দি করবো; এই রাত্রির যত প্রেমছবি।


যদি আসন্ন যুদ্ধের দামামা বেজে যায় আচমকা,
তবে এই সোহাগের বিছানায় সহসায় নেমে আসবে অতৃপ্ততা; তুমি জানো।


যদি বিভীষিকাময় হয়ে উঠে প্রাঞ্জল এই রজনী প্রবল,
তবে পরশ দিও প্রেয়সী; আমার রেখে যাওয়া অতি গ্রাহী এই চাহনীতে।


তোমার উদ্ভাসিত প্রেমে মেতে উঠা চুলের বেনী,
খুব করে ঝুকে থাকা প্রগাঢ় শ্বাসের উষ্ণতা।
ও_
অনিবার্য এক মোহ আবৃত খুব নিকটের আলাপন,
আর সর্বাগ্রে প্রশ্রয় দেয়া নিঃশব্দি অনুমতি সম্ভার।


সব সব'টা নিটোল কামনার আয়োজন যত তোমার,
আমি স্ব-যতনে নিয়ে যাবো আমার অতি কাঙ্ক্ষিত রণক্ষেত্রে।


বিশ্বাস করো-
আমি নিয়ে যাবো ওসব খুব আপনের ছোঁয়ায়,
আমার অতৃপ্ত বক্ষের প্রতিটি লোমের গোড়া কুপিয়ে।


শরতের খুব একাকীত্বে যবে পুড়ে যাবে তোমার নীল-আঁচল,
তবে কাশফুলের শুভ্র আঁশের ছাঁচ ভিজিয়ে দিও; কেবল এক ফোঁটা অশ্রুঞ্জলী।


রক্তাক্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত প্রান্তরে যখন প্রস্তুত হবে,
আমার সলিল সমাধিতে অন্তিম চির নিদ্রা; তখন ওই অশ্রু ফোঁটাই রবে আমার অমৃত স্পন্দন।


জানোইতো,
আমি শাড়ী পরা তোমাকে ঠিক কাশফুলের মতই ভালোবাসি ভীষণ।



রচনাকাল-
2015.Jul.11_12.50 রজনী।
অপরাজিতা, এন্ডারসন রোড, কক্ִসবাজার।