বিস্ফোরিত গোলক চিড়ে নির্বাকে চেয়ে দেখি,
মানবতার নিঃশেষ হওয়ার নির্মম ধ্বংসলীলা।


তবুও এখনো করুণার মৃত পয়স্বিনীর মোহনায়,
শ্রবণ হয় অসহায় নিঃস্ব চিত্তের নিদারুণ করুণ আর্তনাদ।


যে আর্তনাদ মিশে যায় যত সু-উচ্চ গগণচুম্বি দালানে দিব্যি,
আর চুড়ান্তে নিঃশেষ হয়;
চরম আধুনিকতার চকচকে এই সভ্যতার দারুণ যত অভিলাষে।


দরিদ্রতা ছুঁয়ে যায় কখনো খুব করে নগর থেকে শহর,
মিথ্যে আর প্রগাঢ় হিংস্রতার তমসায় মিশে যা নিমিষেই অনন্ত।


সেভাবেই জীবন যায় ছিন্নমূলদের নির্মম হাহাকারের গন্ডিতে,
যেথায় সমাজ ও রাষ্ট্র ক্রমশই ভক্ষক হয় পিশাচী মুখোশের অন্তড়ালে।


একদিন সেসব মুখোশ ফুঁড়ে বিচ্ছিন্নতায় বিচূর্ণ হবে দেশ পতিদের মগজপিন্ড,
নিশ্চিত এক মহা প্রলয়ে খন্ড বিখন্ড হবে হিংস্রতার পৃষ্ঠা পাতা যত।


যবে প্রতিষ্ঠিত হবে সে কালের সোনালী মুহূর্তক্ষণ,
সে কালেই আমি পুণরায় জন্ম নিবো এক নব ইতিহাসের গর্ভে।


দ্রোহী বিপ্লবের সত্যের সে প্লাবনে জানি সেই কাল আসন্ন দ্রুতই,
তবে সমাপ্তির অধ্যায়ে শীঘ্রই প্রলম্বিত হোক;
ঐ হায়েনাদের তুমুল জুলুম।


তীব্র আঁধার ভেঙ্গেই জ্বলে উঠবে অসীম টকটকে প্রভা,
যে প্রভার অদৃশ্য তেজস্ক্রীয়তায় নিশ্চিহ্ন হবে সবটা প্রেতাত্মা।


প্রত্যাবর্তনের বহুল প্রত্যশীত সে পথে হে ধরণী ফিরে চলো ফের,
সময়ের ধ্রুব পরিণতিতে চলো ক্রমান্বয়ে গড়ে তুলি সেই স্বর্ণালী মহাকাল।



রচনাকাল-
2015.Apr.05_12.30 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।