বৃষ্টির বেপরোয়া উন্মত্ততা ঘিরে মেঘের তীব্র গর্জন,
বোসে আছি প্রতীচী জানলার কার্ণিশ ঘেসে একান্ত।


নগরীর সমস্ত প্রাণে আজ বেঁচে থাকার নতুন স্পন্দন,
সাম্যের গান গেয়ে অবাধে নেমে পড়ছে বৃষ্টি বাদল।


নিসর্গের এই অবেলার আচমকা উত্থান ছেপে গেছে,
এই ক্লান্ত করুণ শহরের সব উপদানের ভিতর ও বাহির।


আজন্ম পুড়ে যাওয়া মনের অভিধান যেনো দিব্যি ভিজে গিয়ে,
উৎসুক শব্দ বহর নিয়ে জেগে উঠে সাহিত্যের নিরেট বুনন ধারায়।


অভিমানের শত সহস্র সুরও যেন নেমে পড়ে প্রাণান্ত,
বিস্মৃতির সুপ্তে লুকিয়ে থাকা অগণন চিত্রের নির্মম সম্রাজ্যে।


বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা সেই জন্ম জন্মান্তর আগে থেকেও,
তবুও এই অবিরল ধারার তীব্র পিপাসা অনন্ত তৃষ্ণাই রয়ে যায় আমাতে।


নীরদের তীব্র ঘ্রাণে মুখরিত অভ্রের তেপান্তরের এই ডাকে,
প্রকম্পিত হয়ে সাড়া দেয় আমার অন্তর ও আত্মার সমস্ত চেতনা।


প্রতীক্ষার সুর বাজে বেদনার নিকষ মেঘ বাদকে অনাবিল,
প্রত্যাশার অবিরাম স্রোত ঝরে হৃদয়ের অন্দর মহলে অনুপম।


এখানে ক্রমশই পাঁজরের হাড় ছুঁয়ে বৃষ্টি ঝরে নিপূণ,
আর জানলার সম্মুখে রচিত হয় বিগত একেকটি ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি।


আজ অ'কবির বিচ্ছিন্ন অ'কবিতারা হয়ে উঠেছে বৃষ্টিস্নাত বড্ড অ'কাব্যিক,
সাথে অভিধানের বেসুরো ব্যঞ্জনা ফিরে পেয়েছে অকুণ্ঠ কিছু অযৌক্তিক সমর্থন।


হ্যাঁ, এখন বৃষ্টি ঝরছে আকুল…



রচনাকাল-
2015.Apr.03_04.30 অপরাহ্ন।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।